বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দোহা থেকে হাজার হাজার শ্রমিককে উচ্ছেদ

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 17:20:19

বিশ্বকাপে আগত ভিজিটরদের থাকার জন্য কাতারের রাজধানী দোহাতে বসবাসরত হাজার হাজার বিদেশি কর্মীদের থাকার অ্যাপার্টমেন্টগুলো খালি করা হচ্ছে। প্রবাসীদেরকে দুই ঘণ্টার নোটিশে অন্যত্র চলে যেতে বলছে কাতার প্রশাসন। এর ফলে মহাসংকটে পড়েছে দোহাতে বসবাসরত প্রবাসীরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত যেসব এলাকায় এশিয়ান ও আফ্রিকানদের বসবাস বেশি বা ঘনবসতি, সেগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এক ডজনেরও বেশি বিল্ডিং খালি করা হয়েছে।

বিদেশি কর্মীদের প্রতি কাতারের এমন আচরণের তীব্র সমালোচনা চলছে।

কাতারের দোহা শহরের নাজমা, দোহা জেদিদ, ফিরোজ আবদুল আজিজসহ বেশ কিছু এলাকায় বিল্ডিংয়ে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। দোহার আল মানসুরা জেলার একটি বিল্ডিংয়ে ১২০০ জন লোক বসবাস করে আসছিলেন। বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের দুই ঘণ্টার মধ্যে ওই বিল্ডিং খালি করতে বলেন। খালি না করায় পৌর কর্মকর্তারা রাত সাড়ে ১০টার দিকে আবার ফিরে এসে সবাইকে জোর করে বের করে দেন এবং ভবনের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। এসময় অনেকে তাদের জিনিসপত্রও ঠিকভাবে নিতে পারেনি।

নাম প্রকাশ না করে উচ্ছেদ হওয়া একজন প্রবাসী শ্রমিক রয়টার্সকে বলেন, দুই ঘণ্টার নোটিশে তাদের বাসা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারা ঠিকভাবে তাদের জিনিসপত্রও আনতে পারনেনি। চাকরি চলে যেতে পারে এই ভয়ে তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ করেননি।

এসময় পাঁচজন লোককে একটি পিকআপে থাকার বিছানাপত্র ও ফ্রিজ তুলতে দেখা যায়। তারা বলেন, তারা দোহা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে সুমায়সিমাহতে একটি ঘর খুঁজে পেয়েছেন। এখন সেখানে তারা চলে যাচ্ছেন

কাতার সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, উচ্ছেদগুলো বিশ্বকাপের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। দোহাকে পুনর্গঠিত করার এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

তিনি আরও বলেন, নোটিশের মাধ্যমে সবাইকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। যাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে সবাইকে নিরাপদ এবং উপযুক্ত আবাসনে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মূলত বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে আগত ফুটবলপ্রেমী ও পর্যটকদের কাছে দোহাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি শহর হিসেবে দেখাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ৷ বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার আমেজ শেষ হলেই আবার স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে জানান প্রবাসীরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর