যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই ভোটের ফলাফলের মাধ্যমেই জানা যাবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখনও ভোটারদের মধ্যে কতটা জনপ্রিয়।
এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর বাইডেন ভবিষ্যতে সহজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন, নাকি প্রতিপদে রিপাবলিকানরা তাকে আটকে দেবে, তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে।
যদিও মধ্যবর্তী নির্বাচনে হোয়াইট হাউজে যারা থাকেন তাদের আসন হারানোর প্রবণতাই বেশি দেখা যায়। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারবেন কিনা তাও বোঝা যাবে এই নির্বাচনের ফল থেকেই।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার এবং ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় মামলার মুখে পড়া ট্রাম্পের কাছে এই ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারে ধারাবাহিক ভাবে হাজির ছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প আদৌ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না, তা রিপাবলিকানদের ফলাফলের উপর অনেকাংশে নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেত্রী রোনা ম্যাকড্যানিয়েলের কাছে এই ভোট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচন সাধারণত একটা নকশা মেনে চলে। যে দল ক্ষমতায় রয়েছে, কংগ্রেসে তাদের আসন কমে যায়। সেই হিসেবে রিপাবলিকান পার্টি কিছুটা স্বস্তিতে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। যদি কোনও মধ্যবর্তী নির্বাচনে চেনা ছকের বাইরে দিয়ে, শাসক দলই কংগ্রেসে বেশি আসন জেতে, তা হলে তা প্রেসিডেন্টের সমর্থনে বিপুল গণভোট বলেই ধরা হয়। সম্ভবত, সেই অঙ্ক মাথায় রেখেই এ বার বিভিন্ন প্রদেশে গিয়ে ধারাবাহিক ভাবে প্রচার করেছেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০টির মধ্যে ৩৫টি এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫টি সাধারণ আসনের সবক’টিতেই ভোট হচ্ছে এ বার। সেই সঙ্গে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ‘ভোটদানের ক্ষমতাহীন’ ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি এবং ৩৬টি প্রদেশ (স্টেট) ও ৩টি টেরিটরির গভর্নর নির্বাচন হবে মঙ্গলবার। প্রাক ভোট সমীক্ষায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ছবি উঠে এসেছে অনেক রাজ্য থেকেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতাদের ঐকমত্যের অনুরোধ জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এখন আপনারা ঐক্যবদ্ধ আছেন এবং আমার অনুরোধ, যতদিন শান্তি স্থাপন না হয়, ততদিন পর্যন্ত নিজেদের এই ঐক্য ধরে রাখুন। গণতন্ত্র যখন বিজয়ের পথে, তখন তাকে থামিয়ে দেয়া অবশ্যই উচিত হবে না।