২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনার সুপারিশ করেছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের হাউস সিলেক্ট কমিটি। এর মাধ্যমে আইনের আওতায় আসছেন দেশটির সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) জেমি রাসকিন এ বিষয়ে এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনার ব্যাপারে বিচার বিভাগকে সুপারিশ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগের সুপারিশ করা হয়েছে, সেগুলো হলো- সরকারি কার্যক্রমে বাধা প্রদান, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করা, মিথ্যা বক্তব্য দেওয়া ও বিদ্রোহে প্ররোচিত করা।
তবে ক্ষমতাসীন দলের (প্রতিনিধি পরিষদের হাউস সিলেক্ট কমিটি) এ সুপারিশ মানতে বাধ্য নয় বিচার বিভাগ। তবে রাসকিন বলছেন, এ সুপারিশের বিপরীতে প্রচুর তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে আছে।
যদি এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাম্পকে বিচার করা হয় ও অভিযোগগুলো যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে ৪০ বছরের জেল হতে পারে তার। আর এমনটি হলে সামনের বছর আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন না ট্রাম্প।
তবে ক্যাপিটল হামলার ঘটনায় কংগ্রেস একাই তদন্ত করছে না। এ ব্যাপারে বিচার বিভাগের পৃথক একটা তদন্ত চলমান রয়েছে।
এর আগে, গত অক্টোবরে দাঙ্গার ঘটনায় প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ ও সাক্ষ্য দিতে ট্রাম্পকে তলব করেছিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের তদন্ত প্যানেল। ওই সময় ট্রাম্পকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে আপনিই প্রথম কোনো ব্যক্তি যিনি নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। আপনি জানতেন, এ ধরনের কাজ অবৈধ ও অসাংবিধানিক। তবে এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প।
এই তদন্তকে গত মাসে অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে ভোটারদের দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা বলেও অভিহিত করেছিলেন ট্রাম্প।
ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ জনকে অভিযুক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন।