অবশেষে নিজের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টুইটারের প্রধান নির্বাহীর (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইলন মাস্ক।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
মাস্ক টুইটারে লিখেছেন, এই চাকরিতে নেওয়ার মতো বোকা কাউকে পেলেই আমি সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করব! এর পরে, আমি কেবল সফটওয়্যার এবং সার্ভার টিম চালাব।
এর আগে, নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোল চালু করেছিলেন ইলন মাস্ক। সেখানে তিনি তার অনুসারীদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘আমার কি টুইটার প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত?’ জরিপে ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতাই বলেছেন, ইলন মাস্কের উচিত টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদ ছেড়ে দেয়া।
ইলন মাস্ক জরিপের ফল মেনে নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ জরিপে অংশ নেন।
প্রযুক্তি ধনকুবের ইলন মাস্ক, যিনি টেসলা এবং স্পেস-এক্সেরও প্রধান, টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে আছেন।
আদালতে একটি মামলায় লড়ে ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে গত অক্টোবরে টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেন।
ইলন মাস্ক অক্টোবরে টুইটারের দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্ল্যাটফর্মে অনেক ধরণের বিতর্কিত পরিবর্তন নিয়ে আসেন।
তিনি টুইটারের প্রায় অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করেন এবং অর্থের বিনিময়ে একাউন্ট ভেরিফিকেশনের নিয়ম চালুর চেষ্টা চালান। পরে অবশ্য এটি স্থগিত রাখা হয়। গত সপ্তাহে এটি আবার চালু করা হয়েছে।
টুইটারের কনটেন্ট যাচাই-বাছাই করার ব্যাপারে তার মনোভাবও ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। নাগরিক স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে এমন গোষ্ঠীগুলো অভিযোগ করে যে, ইলন মাস্ক যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা ঘৃণা এবং অপপ্রচার আরও বাড়াবে।