নিয়মিত গ্যাসের চুলায় রান্নার কারণে শুধুমাত্র নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যেই ১৯ শতাংশ শিশু হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলের প্রায় ৬০ হাজার শিশু হাঁপানি রোগে ভুগছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক ব্রঙ্কসে।
হেলথ ডিপার্টমেন্টের ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী নিউইয়র্ক সিটির প্রায় ৭৩ শতাংশ বাড়িতে গ্যাসের চুলায় রান্না হয়। আর পুরো নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ৮৪ শতাংশ স্বল্প আয়ের মানুষের বাড়িতে রান্না হয় এই ফসিল ফুয়েলে। পুরো আমেরিকায় এই হার ৫৪ শতাংশ। আর এই গ্যাস চুল্লিতে রান্নার কারণে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ১৯ শতাংশ শিশু অ্যাজমায় আক্রান্ত।
গত মাসে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এনভার্নমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক হেলথে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সব তথ্য দেয়া হয়েছে।
এই তথ্যের সত্যতা ধরা পড়েছে ‘আমেরিকান হাউজিং সার্ভে’তেও। প্রতিবেদনের শেষে এর সমাধানে অর্থাৎ শিশুদের নতুন করে আক্রান্ত না হওয়ার এবং যারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত তাদের অ্যাজমা আরও বেড়ে যাওয়া রোধ করতে গ্যাস স্টোভ ব্যবহার নিষিদ্ধ করে রিনিউয়েবল পাওয়ার স্টোভ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে গ্যাস স্টোভের কাছ থেকে শিশুদের দূরে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এই তথ্য এনার্জি জাস্টিস ল অ্যান্ড পলিসি সেন্টারের কর্মকর্তাদের বিস্মিত করেছে। যদিও তথ্যটি একেবারেই নতুন নয়।
২০১৯ সালের এক রোডম্যাপে ক্লাইমেট লিডারশিপ অ্যান্ড কম্যুনিটি প্রটেকশন অ্যাক্টে এই আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু গত মাসের প্রকাশিত তথ্যের কারণে কুকিং ও হিটিংএর জন্য গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করে দিয়ে সোলার পাওয়ার ব্যবহারের ওপর চাপ সৃষ্টি হলো। যদিও গত বছর নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পাশ হওয়া একটি বিলে বলা হয়েছে ২০২৭ সালের মধ্যে নির্মিত সব নতুন ভবনে কোনো গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না, তার পরিবর্তে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক হতে হবে। তবে নিউইয়র্ক স্টেট এ ধরনের কোনো বিল পাশ করতে পারেনি। আশা করা হচ্ছে খুব শিগিগির একটি বিল এ বছর আলবেনিতে পাশ হবে।