যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) পদ থেকেও পদত্যাগ করলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।করোনাবিধি লঙ্ঘনজনিত ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় দেওয়া এক তদন্ত প্রতিবেদনের জেরে শুক্রবার (৯ জুন) তিনি পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন। খবর বিবিসির।
এক বিবৃতিতে বরিস বলেন, তারা এখনো এতটুকুও প্রমাণ করতে পারেনি যে, আমি জেনেশুনে বা বেপরোয়াভাবে সেই বিধি ভঙ্গ করেছি।
পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, আপাতত পার্লামেন্ট ত্যাগ করা খুবই দুঃখজনক। তবে সর্বোপরি আমি আতঙ্কিত যে আমাকে অগণতান্ত্রিকভাবে একটি তীব্র পক্ষপাতমূলক কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জোর করে বহিষ্কার করা হতে পারে।
এর আগে শুক্রবার সকালে প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পান জনসন। বরিসের মতে, ওই প্রতিবেদন হেঁয়ালি, অসত্য ও পক্ষপাতে পরিপূর্ণ।
উল্লেখ্য, গত মার্চে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তদন্ত কমিটির কাছে এটা স্বীকার করেছিলেন যে, করোনা বিধি উপেক্ষা করে বন্ধুদের নিয়ে পানাহারের আয়োজন করার বিষয়ে তিনি পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। তবে তিনি এও বলেছিলেন যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তা করেননি।
২০২০-২১ সালে করোনা মহামারি চলাকালে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি ছিল। তখন লকডাউনের বিধি ভেঙে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস নিজ কার্যালয়ে একাধিক পানাহারের আয়োজন করে। যা নিয়ে তাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এ বিষয়টিই ‘পার্টি গেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত। এসব অভিযোগকে কেন্দ্র করে বরিসকে ২০২২ সালের ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হয়।