ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন এখন বেলারুশে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজেন্ডার লুকাশেঙ্কো
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় এ খবর জানিছে বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বেল্টা। তবে বিস্তারিত কোনো কিছু জানায়নি মিনস্ক।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রিগোজিনের ওপর নজর রাখছেন বেলারুশ প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেছেন, তার (প্রিগোজিন) নেতৃত্বে রাশিয়ায় ওয়াগনার বাহিনী যে ঘটনা ঘটিয়েছে বিষয়টি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরআইএ জানায়, বিদ্রোহের তিনদিন পর বেলারুশের উদ্দেশে রাশিয়া ছাড়ে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনকে বহনকারী একটি উড়োজাহাজ। শনিবার রাশিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহের পর তিনি জানিয়েছিলেন, বেলারুশে যাচ্ছেন।
ফ্লাইট ট্র্যাকার ফ্লাইটরাডার ২৪ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৭ জুন) ০২৩২ জিএমটিতে এমব্রিয়ার লিগ্যাসি ৬০০ জেট বিমানটি রাশিয়ার রোস্তভ থেকে বেলারুশের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ০৪২০ জিএমটিতে রাজধানী মিনস্কের কাছে অবতরণের প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় ওই বিমানটিকে।
এদিকে সশস্ত্র বিদ্রোহের পর ভাগনার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানির (পিএমসি) যোদ্ধাদের সামনে তিনটি বিকল্প দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বিকল্পগুলোর কথা উল্লেখ করেন।
পুতিনের ভাষণ অনুযায়ী, প্রথম বিকল্প হলো—ভাগনার যোদ্ধাদের রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা অন্যান্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে দেশের সেবা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। দ্বিতীয় বিকল্প হলো, ভাগনার যোদ্ধারা চাইলে তাদের পরিবার-পরিজন-বন্ধুদের কাছে ফিরতে পারবেন। আর তৃতীয় বিকল্প হলো, ভাগনার যোদ্ধাদের কেউ চাইলে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে চলে যেতে পারবেন।
ভাগনারের প্রধান প্রিগোজিন বিদ্রোহ ঘোষণা করে গত শনিবার তার বাহিনী নিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো অভিমুখে অভিযাত্রা করেছিলেন। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় তিনি এই অভিযাত্রা বন্ধ করেন। সমঝোতায় বলা হয়, প্রিগোজিন বেলারুশে চলে যাবেন। বিদ্রোহের কারণে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার হবে।
বিদ্রোহ থেকে সরে আসার পর গতকাল প্রথমবারের মতো অডিও বার্তা দেন প্রিগোজিন । এতে তিনি দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নয়, বরং প্রতিবাদ জানাতে মস্কো অভিমুখে যাত্রা করেছিল তার বাহিনী।