আফ্রিকার দেশ মালিতে এক দশক ধরে চালানো শান্তিরক্ষা মিশন শেষ করতে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
এর আগে, দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী অবিলম্বে সশস্ত্র বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াইরত আন্তর্জাতিক বাহিনীকে প্রত্যাহারের দাবি করে। এর পরই মূলত এমন পদক্ষেপ নিল জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ ও মালির সামরিক জান্তার মধ্যে কয়েক বছর ধরেই শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে প্রবল উত্তেজনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ে দিয়োপ শান্তিরক্ষীদের ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সরিয়ে নিতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান।
রাশিয়ার ভাড়াটে আধা সামরিক বাহিনী ওয়াগনারের সঙ্গে ২০২১ সালে মিত্রতা করে মালি সরকার। তার পর থেকেই সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনকে একের পর এক বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এবার বন্ধ হচ্ছে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ মিশনটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার (৩০ জুন) মালিতে শান্তিরক্ষা মিশন শেষ করতে ভোট চলার সময়ই হোয়াইট হাউজ মালি থেকে শান্তিরক্ষীদের তাড়াতে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ করেছে। মালি কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে এ পর্যন্ত ওয়াগনারকে ২০ কোটি ডলার দিয়েছে এমন তথ্য তাদের কাছে আছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, যে জিনিসটি বেরিয়ে আসেনি তা হচ্ছে, ওয়াগনারের স্বার্থরক্ষা করতেই সেনাদলটির প্রধান প্রিগোঝিন শান্তিরক্ষা মিশনকে মালি থেকে সরিয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধ করা হলে মালির সরকারি মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেননি। তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত আন্না এভস্টিগনিভা নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, মালি ‘সার্বভৌম সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে।