জোটের সবাই যখন রাজি হবে এবং শর্তগুলো পূরণ হবে তখনই ইউক্রেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এক বিবৃতিতে ন্যাটো নেতারা জানিয়েছে, দ্রুত অগ্রসর হওয়া দরকার তা অনস্বীকার্য, তবে এর জন্য নির্ধারিত সময়সীমা বলা হচ্ছে না। খবর বিবিসির।
এর আগে, টুইটারবার্তায় কড়া ভাষায় দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনকে কখন আমন্ত্রণ জানানো হবে, কখন ইউক্রেন জোটের সদস্য হবে, এসবের কোনো সময়সীমা নির্ধারণ না করাটা নজিরবিহীন এবং অযৌক্তিক। কার্যত মনে হচ্ছে ইউক্রেনকে জোটে আমন্ত্রণ জানানো বা সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রস্তুতিই নেই।
কিয়েভ জানে যে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সময় ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগ দিতে চায়।
এদিকে সম্মেলনের প্রথম দিন ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে ইউক্রেনকে অবশ্যই ন্যাটোর সদস্য করা হবে এবং সদস্য হওয়ার জন্য কিছু শর্ত বাদ দেওয়া হবে। ফলে দুই ধাপের বদলে ইউক্রেনকে মাত্র একটি ধাপ পার করতে হবে।
স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, আপনি যদি সবার সদস্যপদের প্রক্রিয়ার দিকে তাকান তাহলে দেখবেন সেটা সময়সীমার ভিত্তিতে হয়নি। হয়েছে শর্তপূরণের ভিত্তিতে, যেটি সবসময়ই হয়ে থাকে।
ইউক্রেন কখন এবং কীভাবে জোটে যোগ দিতে পারে তা হয়তো ন্যাটো জানায়নি। কিন্তু কূটনীতিকরা বলেছেন, ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্য প্রাপ্তির জন্য একটি পরিষ্কার পথ নির্ধারণ করেছে এবং কঠোর আবেদন প্রক্রিয়াটি সহজ করা হয়েছে।
ন্যাটো ২০০৮ সালে ইউক্রেনকে জোটের সদস্য করে নিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু সেটি কখন এবং কীভাবে করা হবে সেটি বলেনি।