অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে তিউনিশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় অর্থনীতি চাঙা করতেও কাজ করবে দুই পক্ষ।
ইউরোপের উদ্দেেশে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ভাসানো অভিবাসী ও শরণার্থীদের একটা বড় অংশ তিউনিসিয়া হয়ে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের সংখ্যা এই রুটে উল্লেখযোগ্য বেড়েছে। এই চুক্তির ফলে অবৈধ অভিবাসী আসা কমতে পারে বলে ধারণা ইইউর।
রোববার (১৬ জুলাই) প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সায়িদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনের আলোচনায় উরসুলা উন্নতি ও স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েেছেন। তার মতে তিউনিসায় সঙ্গে ইউরোপের কৌশলগত স্বার্থ জড়িত।
অভিবাসন বিষয়েও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ইউরোপের এই নেতা।
এই চুক্তি মানব পাচার বন্ধে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। এই চুক্তিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় একটি নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ্য করেছেন।
তিনি আগামী ২৩ জুলাই অভিবাসন সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট সাইদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ।
চলতি বছরের জুনে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি তিউনিসিয়া সফর করেন। ওই সময় অভিবাসন চুক্তি বিনিময়ে ভন ডার লিয়েন তিউনিশিয়াকে ৯০ কোটি ইউরো (১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি) অর্থনৈতিক সহায়তা প্যাকেজ ছাড়াও তাৎক্ষণিক বাজেট সহায়তার জন্য ১৫ কোটি ইউরো (প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার সমান) এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও চোরাচালানবিরোধী কার্যক্রমে সহায়তায় আরও সাড়ে ১০ কোটি ইউরো (প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা) দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
এই প্রস্তাবের শেষ অংশটি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন পর্যবেক্ষকেরা। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে অভিবাসন মোকাবিলায় তিউনিশিয়াকে ভূমিকা রাখার দিকেই ঠেলে দেয়া হচ্ছে।