রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়ার সংযোগকারী সেতুতে ‘সন্ত্রাসী’ হামলার পর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের এই সন্ত্রাসী হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া যায় সে পরিকল্পনা চলছে।
গত রোববার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাতে কার্চ সেতুতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরকভর্তি চালকবিহীন নৌযান ব্যবহার করে চালানো এ হামলার দায় স্বীকার করেছে কিয়েভ। এর আগেও এ সেতুতে একবার হামলা চালিয়েছিল কিয়েভ।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখলের পর ২০১৮ সালে সেতুটি নির্মাণ করে রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ তৈনি করা হয়।
সোমবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে পুতিন বলেন, গত রাতে (কার্চ) সেতুতে আরও একটি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। অবশ্যই রাশিয়ার পক্ষ থেকে এর জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ইউক্রেনের এ হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া সে প্রস্তাব তৈরি করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই হামলাকে সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে নির্বোধদের দ্বারা সংগঠিত এক অপরাধ আখ্যা দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এই সেতু দিয়ে বহু দিন ধরে সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করা হয় না। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ পরিবহন অবকাঠামোটিকে আরও সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা চলছে।
হামলায় পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রিমিয়া সেতুতে ‘সন্ত্রাসী’ হামলার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের দাবি, মার্কিন ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও দেশ দুটির রাজনীতিকদের ইন্ধনে এ হামলা করেছে ইউক্রেন। তবে এ দাবির পক্ষে তিনি কোনো তথ্য-প্রমাণ দেননি।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবার একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, এই হামলায় জলভিত্তিক ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল।