গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রুশ দূতাবাসের ৪৫ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে ইউরোপের অন্যতম ছোট দেশ মলদোভা। অবন্ধুসুলভ নানা কর্মকাণ্ডের কারণে এই রুশ কূটনীতিক ও দূতাবাসকর্মীদের ব্যাপারে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কিশিনাউ।
বুধবার (২৬ জুলাই) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। রুশ দূতাবাসের ৪৫ কর্মীকে ১৫ আগস্টের মধ্যে মলদোভা ছাড়তে বলা হয়েছে।
এদিকে ৪৫ দূতাবাসকর্মীকে বহিষ্কারের নিন্দা করে রাশিয়া বলেছে, এই বহিষ্কারের জবাব দেবে তারা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে মলদোভা সরকার মস্কোর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং বিরোধী দলকে সমর্থন করার অভিযোগ আনে।
চলতি সপ্তাহে মলদোভার দুটি গণমাধ্যমে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, মলদোভার রাজধানী কিশিনাউয়ে রুশ দূতাবাসসংলগ্ন একটি ভবনে থাকা ২৮টি অ্যানটেনা গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকু পোপেস্কু বলেছেন, বহু বছর ধরে রাশিয়া আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাদের দূতাবাসগুলোর মাধ্যমেই এগুলো করা হচ্ছে।
মাত্র ২৬ লাখ জনসংখ্যার দেশ মলদোভা ইউরোপের সবচেয়ে দরিদ্রতম অর্থনীতির দেশ । প্রতিবেশী ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে দেশটিতে।
মলদোভায় রাশিয়া কেবল গ্যাস সরবরাহ সীমিত করেনি বরং ইউক্রেনের পাওয়ার গ্রিডে হামলার কারণেও দেশটিতে বিক্ষিপ্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ইউক্রেনে আক্রমণ করার ফলে দেশটিতে ইউক্রেনীয় উদ্বাস্তুদের আগমনে জনসাধারণের পরিষেবার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।