বাংলাদেশ-ভারতে শক্তি বাড়াতে চাইছে আল-কায়েদা: জাতিসংঘ

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 18:18:29

সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা বাংলাদেশ, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর ও মিয়ানমারে তাদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অ্যানালিটিকাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্য়াংশান মনিটরিং টিম জানিয়েছে, আফগানিস্তানে আল কায়দার প্রায় ৪০০ জন যোদ্ধা রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়দার প্রায় ২০০ জন যোদ্ধা রয়েছে। তারা ওসামা মেহমুদের নেতৃত্বে কাজ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইকিউআইএস ( আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট) বা ভারতীয় উপমহাদেশের আল কায়েদা গোষ্ঠীর কিছু অংশ আইএসআইএল-কে (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট- খোরাসান) সহযোগিতা করতে এবং তাদের সঙ্গে যোগ দিতে প্রস্তুত।

আরও বলা হয়, আফগানিস্তান সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। দেশটিতে অন্তত ২০টি জঙ্গি সংগঠন কাজ করছে। তারা মূলত জঙ্গি কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার জন্য নানা ছক কষছে।

আর সেই আল কায়দার সঙ্গে আফগানিস্তানের তালেবান হাত মেলাচ্ছে বলে খবর। সূত্রের খবর, তালেবানের উচ্চ পদস্থ নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আল কায়দা সদস্যরা আফগানিস্তানের নানা প্রশাসনিক ব্যবস্থাতেও নাক গলায়। মূলত আফগানিস্তানের মাটিকে তাদের আদর্শ প্রচার ও নতুন সদস্য সংগ্রহের উর্বর ক্ষেত্র বলে মনে করে।

জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই এলাকায় আল কায়েদার নেতা ওসামা মেহমুদ।

ওই রাষ্ট্র সতর্কবার্তায় বলেছে, আল কায়েদা এখন আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টকে (একিউআইএস) সংগঠিত করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।

তাদের ধারণা, একিউআইএসের অল্প কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-খোরাসানের (আইএসআইএল-কে) সঙ্গে যোগ দিতে বা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, ২০২২ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন হামলায় নিহত আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাইফ আল-আদল। তিনি বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আইএসআইএল-কে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা আফগানিস্তানে থেকেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। আফগানিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর