বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগেই ৯ আগস্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে প্রধানমন্ত্রী ভবনে ক্ষমতাসীন জোটের শরিকদের সম্মানে আয়োজিত এক নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। পাকিস্তানের বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ আগামী ১২ আগস্ট মধ্যরাতে শেষ হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চলমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। জাতীয় পরিষদ বিলুপ্তির ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের নামের বিষয়ে সরকার ও বিরোধী দলকে একমত হতে হবে। আজ শুক্রবার ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে বলে ডনের খবরে বলা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত মাসে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পরিষদের সঙ্গে বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদও ভেঙে দেওয়া হবে। কিন্তু এই কমিটিতে পাঞ্জাবের বাইরে থেকে কোনো সদস্যকে রাখা হয়নি। কমিটির ৫ সদস্যই ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন)। তারা হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইসহাক দার, আহসান ইকবার। খাজা সাদ রফিক, সরদার আয়াজ সাদিক ও খাজা মুহাম্মদ আসিফ।
নৈশভোজে শাহবাজ শরীফ জোট সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মিত্রদের অবহিত করেন। তিনি দাবি করেন, সরকার গত ১৫ মাসে রাজস্ব আদায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। বিদ্যুৎ খাতে পুনরুদ্ধার ৯০ শতাংশেরও বেশি রয়ে গেছে। তবে গত ১১ মাসে সার্কুলার ঋণ বেড়েছে ১৮ শতাংশ। গত চার মাসে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং গত অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তি রফতানির পরিমাণ ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।