কৃষ্ণ সাগরে ড্রোন হামলায় রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করেছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার রপ্তানির প্রধান কেন্দ্র নভোরোসিয়েস্ক বন্দরের কাছে ওই ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কিন্তু, যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, নৌ ঘাঁটিতে ইউক্রেনের একটি আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে। ওই আক্রমণে দুটি সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করেছিল ইউক্রেন।
কিন্তু, ইউক্রেনের নিরাপত্তা সেবার সূত্রগুলো বলছে ওলেনেগর্স্কি গোর্নিয়াক নামের রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজটিতে বড়সড় হামলা করা হয়েছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সেবার সূত্রগুলো বিবিসিকে জানিয়েছে, একটি সামুদ্রিক ড্রোন ওই যুদ্ধজাহাজে আঘাত করার সময় ৪৫০ কেজি ডিনামাইট বহন করছিল। জাহাজটিতে সেই সময় প্রায় ১০০ জন ক্রু ছিল। তবে হতাহতের ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা জায়নি।
রাশিয়া ওই ঘটনার প্রতিবেদনে কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করেনি।
সামুদ্রিক ড্রোন হল ছোট, মনুষ্যবিহীন জাহাজ-যা জলের পৃষ্ঠের উপর বা নীচে কাজ করে।
ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিসের একটি সূত্রের মাধ্যমে বিবিসিকে পাঠানো একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ড্রোনটি ওলেনেগোর্স্কি গোর্নিয়াক বলে মনে করা একটি জাহাজের কাছে আসছে।
ওলেনেগর্স্কি গোর্নিয়াক হল একটি ল্যান্ডিং জাহাজ, যা সমুদ্র সৈকতে সেনা এবং সামরিক যান অবতরণ করানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি নভোরোসিয়েস্ক বন্দর দিয়েই বিশ্বের চাহিদার প্রায় ২ শতাংশ তেল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। টার্মিনাল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাস্পিয়ান পাইপলাইন কনসোর্টিয়ামের মতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে ওই বন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানায়, ইউক্রেন দুটি সামুদ্রিক ড্রোন দ্বারা হামলা করলেও তা ঘাঁটির বাইরেই প্রতিহত করা হয়েছে। এতে কোনো ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী দুটি সামুদ্রিক নৌকা দিয়ে নভোরোসিয়েস্ক নৌ ঘাঁটিতে আক্রমণ করার চেষ্টা চালায়।
ইউক্রেনের একটি গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ান নৌবাহিনীর অবতরণকারী জাহাজ ওলেনেগর্স্কি গোর্নিয়াক বড় ধরণের হামলার স্বীকার হয়েছে। যেটি ইউক্রেনের নৌবাহিনী এবং এসবিইউ গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ মিশনে পরিচালিত হয়।
বন্দরের সঙ্গে জড়িত আরেকটি সূত্র বলেছে, রাশিয়ার একটি বড় জাহাজকে উপকূলে টানতে দেখা গেছে, যা ড্রোন হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে বন্দরের কাছে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনার কথা জানিয়েছিলেন রাশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।