কৃষ্ণ সাগরে আজ শনিবার ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার একটি ট্যাঙ্কার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর স্বীকার করেছে মস্কো।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্যাঙ্কারটিতে ১১ জন ক্রু ছিল। হামলায় ট্যাঙ্কারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্রুরা নিরাপদ রয়েছেন।
তারা জানিয়েছে, কের্চ স্ট্রেটে ওই হামলায় ট্যাঙ্কারটির ইঞ্জিন রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেন এখনও পর্যন্ত ওই হামলার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সেবার একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, ওই হামলায়একটি সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
আজ শনিবারের হামলা চালাতে সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করেছে বিয়েভ। এই ড্রোন দিয়েই গত কয়েক দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার রাশিয়ার উপর হামলা চালালো ইউক্রেন।
রাশিয়া অবশ্য গতকালর হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেনি।
নেভাল ড্রোন বা সামুদ্রিক ড্রোন হল ছোট, মনুষ্যবিহীন জাহাজ, যা জলের পৃষ্ঠের উপর বা নীচে কাজ করে। বিবিসি ভেরিফাইয়ের গবেষণা বলছে, ইউক্রেন সামুদ্রিক ড্রোন দিয়ে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে।
কের্চ প্রণালীর রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়াকে আলাদা করেছে এবং কৃষ্ণ সাগর এবং আজভ সাগরকে সংযুক্ত করেছে।
ইউক্রেনের উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে ২০১৪ সালে সংযুক্ত করেছিল রাশিয়া।
ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা পরিষেবার সূত্রটি বিবিসিকে বলেছে, শনিবারের অপারেশনটি ইউক্রেনের নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত হয়েছে এবং ওই সামুদ্রিক ড্রোন ৪৫০ কেজি বিস্ফোরকসহ ওই ট্যাঙ্কারে আঘাত হেনেছে।
কিয়েভ দাবি করেছে যে, ট্যাঙ্কারটিতে জ্বালানি বোঝাই ছিল এবং হামলার পর বিস্ফোরণ অনেক দূর থেকে দেখা গেছে।
রাশিয়ার মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি বলছে, সিগ ট্যাঙ্কারটি ক্রিমিয়া ব্রিজের দক্ষিণে ১৭ দূরে অবস্থিত ছিল।
রাশিয়ার রাষ্ট্রপরিচালিত সংবাদ সংস্থা তাস দেশটির আঞ্চলিক মেরিন রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (এমআরসিসি) একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, দুটি টাগবোট ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ইঞ্জিন রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তাস আরও জানিয়েছে যে ক্রিমিয়া ব্রিজের বাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং আসন্ন হামলার সতর্কতার কারণে সমস্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর বন্দর নভোরোসিস্কের কাছে ইউক্রেনের সামুদ্রিক ড্রোন হামলায় একটি রাশিয়ান নৌ জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রাশিয়া জাতিসংঘের শস্যচুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সমুদ্রে সংঘর্ষ বেড়েছে।
ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো রাশিয়ান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা বিধ্বস্ত হয়েছে এবং কিয়েভও প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।