ইতালীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসার কাছে এক নৌকাডুবির ঘটনায় ৪১ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। ওই দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া অভিবাসীরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, বেঁচে যাওয়া চারজন উদ্ধারকারীদের বলেছেন, তারা একটি নৌকায় ছিলেন, যেটি তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স থেকে যাত্রা করে ইতালি যাওয়ার পথে ডুবে যায়।
আইভরি কোস্ট এবং গিনি থেকে বেঁচে যাওয়া ওই চারজন বুধবার ল্যাম্পেডুসা পৌঁছেছেন।
উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পারাপারে চলতি বছর এ পর্যন্ত ১,৮০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
বেঁচে যাওয়া তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী উদ্ধারকারীদের বলেছেন, তারা একটি বড় নৌকায় পাড়ি দিচ্ছিলেন, যার মধ্যে তিন শিশুসহ ৪৫ জন অভিবাসী ছিল ।
তারা জানিয়েছে, প্রায় ২০ ফুট লম্বা নৌকাটি গত বৃহস্পতিবার স্ফ্যাক্স ছেড়েছিল। কিন্তু, একটি বড় ঢেউয়ের আঘাতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকায় থাকা ৪৫ জনের মধ্যে মাত্র ১৫ জন লাইফ ভেস্ট পরেছিলেন বলে জানা গেছে।
তারা আরও বলেছেন, তাদের একটি কার্গো জাহাজ দ্বারা উদ্ধার করা হয়েছিল এবং তারপরে একটি ইতালীয় উপকূলরক্ষী জাহাজে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, ল্যাম্পেডুসা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বন্দর শহর স্ফ্যাক্স ইউরোপে নিরাপত্তা ও উন্নত জীবন খোঁজার অভিবাসীদের জন্য একটি জনপ্রিয় প্রবেশদ্বার।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইতালীয় টহল নৌকা এবং দাতব্য গোষ্ঠীগুলো ল্যাম্পেডুসায় আগত আরও ২,০০০ লোককে উদ্ধার করেছে।
তিউনিসিয়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফ্রিকানদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের ঢেউ দেখেছে। তাই তাদের মধ্যে নৌকায় করে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টাও বেড়েছে।
জাতিসংঘ ২০১৪ সাল থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগরে ১৭ হাজারেরও বেশি মৃত্যু এবং নিখোঁজ নিবন্ধন করেছে।
গত মাসে অনিয়মিত অভিবাসন রোধ করার জন্য তিউনিসিয়ার সাথে ১১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইইউ।
এই অর্থ চোরাচালান বন্ধ, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার এবং অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় ব্যয় করবে তিউনিসিয়া।