রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা করে ইউক্রেনের আট পাইলটকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ওড়ানোর প্রশিক্ষণ শুরু করেছে ডেনমার্ক। খবরটি নিশ্চিত করেছে ডেনমার্কের সশস্ত্র বাহিনী।
এদিকে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনারা দাবি করেছে যে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের অংশ হিসাবে দক্ষিণ-পূর্বের গ্রাম রোবোটাইনের দখল পেয়েছে।
অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের স্নেক আইল্যান্ডের কাছে তাদের বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি সামরিক জাহাজ ধ্বংস করেছে।
এ ছাড়াও রাশিয়া ইতিমধ্যেই বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র হস্তান্তর করায় ন্যাটোর নিরাপত্তার উপর এর প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করার ডেনমার্কের সিদ্ধান্ত সংঘাত বাড়াবে বলে সোমবার (২১ আগস্ট) সতর্ক করেছিলেন ডেনমার্কে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডস রবিবার (২০ আগস্ট) ঘোষণা করেছিল যে, তারা কিয়েভের সোভিয়েত যুগের বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী করতে উন্নত জেট সরবরাহ করবে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কির ডেনমার্ক সফরের সময় গত রবিবার ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বলেছেন, তার দেশ ইউক্রেনকে ১৯টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে। এর মধ্যে ছয়টি এই বছরের শেষের দিকে, আটটি আগামী বছর এবং পাঁচটি ২০২৫ সালে বুঝে পাবে কিয়েভ।
ডেনমার্কে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির বারবিন এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ডেনমার্ক এখন ইউক্রেনকে ১৯টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই পদক্ষেপ চলমান বিরোধকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যাবে।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ গত জুলাইয়ে বলেছিলেন, মস্কো এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে পারমাণবিক হুমকি বিবেচনা করবে। কারণ, ওই যুদ্ধবিমানগুলোর পারমাণবিক অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা রয়েছে।
বারবিন বলেন, ‘ইউক্রেনকে শান্তির পক্ষে শর্তগুলো নির্ধারণ করতে হবে। ডেনমার্ক তার কাজ এবং বক্তব্য দিয়ে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘর্ষ চালিয়ে যাওয়া পথে ছেড়ে দিতে চায়।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ওয়াশিংটন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে হস্তান্তরের অনুমোদনের ঘোষণা দেয়।