থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর নির্বাসিত থাকার পর মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দেশে ফেরার কয়েক ঘন্টা পরেই একাধিক অপরাধমূলক অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
দেশটির অপরাধ সংশোধন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার (২৩ আগস্ট) ভোরে উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় ৭৪ বছর বয়সি থাকসিনকে ব্যাংককের পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, অপরাধ সংশোধন বিভাগের মুখপাত্র সিথি সুতিভং এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার বেশ কয়েকটি রোগ রয়েছে, বিশেষ করে হৃদরোগ, যার যত্ন নেওয়া দরকার। কারা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। চিকিৎসক বলেছেন তার জীবন বিপন্ন হতে পারে। এমন ঝুঁকি এড়াতে তাকে পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো উচিত বলে মনে করা হয়েছে।
২০০৬ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার আগ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন থাকসিন। তিনি মঙ্গলবার সকালে একটি প্রাইভেট জেটে ব্যাংককে উড়ে এসেছিলেন, কারণ তার ফেউ থাই দল কয়েকটি জোটসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এদিকে, থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দলের পছন্দ স্রেথা থাভিসিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদীয় সমর্থন এবং বুধবার রাজকীয় অনুমোদন লাভ করেছেন।
দেশে ফেরার পরপরই ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট থাকসিনকে আট বছরের কারাদণ্ড দেয়।
অন্যদিকে, বিদায়ী সরকারের একজন মন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, থাকসিন তার বয়সের কারণে রাজকীয় ক্ষমা এবং উন্নত চিকিত্সার জন্য যোগ্য হতে পারেন।
ফেউ থাইয়ের নেতৃত্বে নতুন জোট প্রগতিশীল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির (এমএফপি) ক্ষমতা লাভের পথ বন্ধ করে দেয়, যে দলটি রাজকীয় মানহানি আইনসহ আমূল সংস্কারের প্রতিশ্রুতিতে নির্বাচনে সর্বাধিক আসন জিতেছিল।
সামরিক বাহিনী দ্বারা নিযুক্ত উচ্চ কক্ষের সমর্থন না পাওয়ায় দলটির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাতকে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি।