ক্রিমিয়াসহ রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের হাতে ফিরে না আসা পর্যন্ত টেকসই শান্তি স্থাপিত হতে পারে না-বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এ ছাড়াও জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন এমন একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে, যা ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাশিয়ার পশ্চিমের অঞ্চল পসকভের বিমানবন্দরে হামলা চালায় কিয়েভ, যা বেশ মস্কোর কয়েকটি সামরিক বিমান ধ্বংস করে। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি ইউক্রেনের কৌশলগত শিল্প মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন অস্ত্রের পরিসীমা এখন ৭০০ কিলোমিটার। আগামী কাজটি হল এই সংখ্যাটিকে আরও বড় করা।’
যদিও রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার বিষয়ে ইউক্রেন খুব কমই মন্তব্য করে থাকে, তথাপি পসকভ হামলার পিছনে যে ইউক্রেন বাহিনী ছিল, সেই বিষয়ে জেলেনস্কিকে বৃহস্পতিবার দুইবার ইঙ্গিত দিতে দেখা গেছে।
রাশিয়ার পসকভ অঞ্চলের বিমানবন্দরটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
যদিও ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা সাধারণত কিয়েভকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আক্রমণ করার জন্য সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে থাকে। কিন্তু তারা এটাও বলেছে যে, ইউক্রেনের অধিকার আছে রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে তার নিজস্ব অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার।
ওয়াশিংটন, ডিসিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার (আইএসডব্লিউ) বৃহস্পতিবার বলেছে, ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সেক্রেটারি ওলেক্সি ড্যানিলভ সম্প্রতি ইউক্রেনের তৈরি একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন, যা ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হেনেছিল।
এদিকে, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কিরিলো বুদানভও বলেছেন,ইউক্রেন বাহিনী এখন অধিকৃত ক্রিমিয়ার যেকোনও অংশে আঘাত করার ক্ষমতা রাখে।