আর্মেনিয়ার নাগোর্নো-কারাবাখের উত্তর-পশ্চিমে সীমান্ত শহর সোটকের কাছে আজারবাইজানের গোলাবর্ষণে চার আর্মেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ওই গোলাবর্ষণ ও হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাকু এবং ইয়েরেভানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। কারণ, উভয় পক্ষ একে অপরকে চুক্তি লঙ্ঘন এবং আন্তঃসীমান্ত বন্দুকযুদ্ধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার বলেছে, আজারবাইজানের উসকানি মূলক গোলাবর্ষণের ফলে আর্মেনিয়ার চারজন সেনা নিহত এবং একজন আহত হয়েছে। এর আগেও আজারবাইজানের হামলায় আর্মেনিয়ার দুইজন সেনা নিহত হয়েছিল।
এদিকে আজারবাইজান বলেছে, আর্মেনিয়া ড্রোন ব্যবহার করে কালবাজার অঞ্চলে অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় আজারবাইজানের দুই সেনা আহত হয়েছে।
আজারবাইজান বলেছে, তাদের গোলাবর্ষণ ওই ড্রোন হামলার প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা ছিল। অন্যদিকে, পৃথক হামলায় আজারবাইজানের এক সেনা আহত হয়েছে।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা ঘোষণা করছি যে, উত্তেজনা এবং এর পরিণতির সমস্ত দায় আর্মেনিয়ার সামরিক-রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপর বর্তায়।’
প্রসঙ্গত, নাগোর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু, ২৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে ওই অঞ্চলের দখল এই দুটি ককেশাস প্রতিবেশীর মধ্যে বিরোধের উত্স হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইয়েরেভান এবং বাকু এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণের জন্য দুইবার যুদ্ধ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও উভয় পক্ষ ওই সংকটের স্থায়ী মীমাংসা করতে পারেনি।
আজারবাইজান গত আগস্টে আর্মেনিয়াকে দুই দেশের অস্থির সীমান্তে সেনা সমাবেশের জন্য অভিযুক্ত করেছে। পক্ষান্তরে, আজারবাইজানের সেনাবাহিনীকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে আর্মেনিয়া।