রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আলোচনার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, শিগগিরই শস্যচুক্তি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
২০২২ সাল থেকে পুতিনের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাতের পর এরদোয়ান সোচির ব্ল্যাক সি রিসোর্টে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, আমরা এমন একটি সমাধানে পৌঁছাব যা অল্প সময়ের মধ্যে প্রত্যাশা পূরণ করবে।’
এরদোয়ান বলেছেন, রাশিয়ার প্রত্যাশা সকলের কাছে সুপরিচিত এবং ত্রুটিগুলো দূর করা উচিত।
এদিকে, পুতিন বলেছেন, রাশিয়া শস্যচুক্তিতে ফিরে আসতে পারে, যদি পশ্চিমারা রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানির সুবিধার্থে জাতিসংঘের সঙ্গে সম্মত একটি পৃথক স্মারকলিপি পূরণ করে।
এরদোয়ানের পাশে দাঁড়িয়ে পুতিন বলেন, পশ্চিমারা রাশিয়ার কৃষি রপ্তানিকে বৈশ্বিক বাজারে পৌঁছানো থেকে সীমাবদ্ধ করা বন্ধ করলেই রাশিয়া শস্যচুক্তিতে ফিরে আসতে পারে।
পুতিন বলেন, ‘আমরা শস্যচুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার সম্ভাবনা বিবেচনা করার জন্য প্রস্তুত থাকব এবং আমি আজ আবার এরদোয়ানকে এ বিষয়ে বলেছি যে, রাশিয়ার কৃষি পণ্য রপ্তানির উপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এটি করব।’
তিনি বলেন, পশ্চিমা যে দাবি করেছে যে, রাশিয়া শস্যচুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত করে খাদ্য সংকট তৈরি করেছে তা ভুল। কারণ, মস্কো ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে দাম বাড়েনি। পুতিন বলেন, গুদামে খাদ্যের কোনও অভাব নেই।
এর আগে, এরদোগানের প্রধান পররাষ্ট্রনীতি ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা আকিফ কাগাতে কিলিক হ্যাবার টেলিভিশন চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা মস্কোকে শস্যচুক্তিতে ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছি। শস্যচুক্তির বর্তমান অবস্থা নিয়ে সোমবার শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনা করা হবে। আমরা সতর্ক, কিন্তু আমরা সাফল্য অর্জনের আশা করছি।’
এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল ইউক্রেন থেকে কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে শস্য পাঠানো এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কট কমানো।
অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
এরদোগানের বৈঠকের বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছিল, শস্যচুক্তিতে ফেরানোর ক্ষেত্রে রাশিয়াকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরের পর পুতিন এবং এরদোয়ানের মধ্যে এটি প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠক।
এদিকে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের প্রধান শস্য রপ্তানিকারক বন্দরের একটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে।