পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন!

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2023-09-05 18:30:46

আগামী সপ্তাহে বিদেশসফরে যাওয়ার আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রশাসনিক মহলে এরকমই জোর গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পত্রিকা আনন্দবাজার। এর আগে গত বছর ৩ আগস্ট শেষবার মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটিয়ে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছিলেন মমতা। তারপর এক বছর পার হলেও মন্ত্রিসভায় আর কোনও রদবদল হয়নি।

কিন্তু, বিদেশ যাত্রার আগে প্রশাসনিক দায়িত্ব বণ্টনের পাশাপাশি বেশ কিছু মন্ত্রীর দফতর অদল-বদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী কাউকে দিতে পারেন অতিরিক্ত দায়িত্বও। পাশাপাশিই কারও কারও দায়িত্ব কমানোও হতে পারে।

তবে রাজ্য মন্ত্রিসভায় নতুন কোনও সংযোজন করা হচ্ছে না বলেই বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। তার একটি সম্ভাব্য কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, নতুন মন্ত্রী করতে গেলে তাকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দিয়ে শপথবাক্য পাঠ করাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বোসের এখন যা সম্পর্ক, তাতে সেই বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

যদিও অনেকে বলছেন, রাজভবন-নবান্নের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে তো সরকারি কাজ বা নতুন মন্ত্রীর শপথগ্রহণ আটকে থাকে না।

প্রসঙ্গত, মমতা গত বছর যখন শেষবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছিলেন, তখন রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন লা গণেশন। আনন্দ বোস দায়িত্বে আসার পর নতুন কোনও মন্ত্রী শপথ নেননি।

এবারের দায়িত্ব অদল-বদলের তালিকায় নাম শোনা যাচ্ছে মানস ভুঁইয়া এবং বাবুল সুপ্রিয়'র। পানি সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানসের দায়িত্ব বদল হতে পারে। কয়েক মাস আগে তার হাত থেকে পরিবেশ দফতরের দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ বার নবান্ন সূত্রের গুঞ্জন, মানসের হাত থেকে পানি সম্পদ উন্নয়ন দফতরটিও যেতে পারে অন্য কোনও মন্ত্রীর হাতে।

বাবুলেরও একটি দফতর বদল হতে পারে। এখন বাবুল তথ্যপ্রযুক্তি এবং পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী। বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুলের অধীন পর্যটন দফতরটি অন্য কাউকে দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। যদিও এর আনুষ্ঠানিক কোনও সমর্থন মেলেনি।

বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাতে রয়েছে অচিরাচরিত শক্তি দফতরও। তার হাত থেকে সেই দফতরটি অন্য কোনও মন্ত্রীকে দেওয়া হতে পারে।

তার বদলে জ্যোতিপ্রিয় পেতে পারেন অন্য একটি দফতর। জল্পনা এই যে, জ্যোতিপ্রিয়কে আবার খাদ্য দফতরে ফেরানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে অন্য কোনও দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

রাজ্য মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং প্রবীণ রাজনীতিক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিদেশসফরের আগে এই মন্ত্রীদের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী আরও খানিকটা বৃদ্ধি করতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

তবে অরূপকে বিদ্যুৎ দফতর নিয়ে আরও বেশি মনোযোগী হতে বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার দায়িত্ব বাড়তে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। বিরবাহার কাজে মুখ্যমন্ত্রী সন্তুষ্ট বলেই প্রশাসনিক মহলের বক্তব্য।

তবে এই রদবদলের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক সমর্থন মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মেলেনি। সবটাই প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন হিসেবে রয়েছে। যদিও শাসকদলের অন্দরের খবর, মুখ্যমন্ত্রী বিদেশসফরের আগে রদবদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর