কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষ করে চলে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের ৪৮ ঘন্টা পরে ভারত ছেড়েছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ট্রুডোকে বহনকারী বিমানটি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রাউন্ডেড করা হয়েছিল।
তাকে নিতে আসা দ্বিতীয় বিমানটি ইতালি হয়ে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা থাকলেও পরে এটি যুক্তরাজ্যে দিকে মোড় নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, অনির্ধারিত বিচ্যুতির জন্য কোনও কারণ জানানো হয়নি। অবশেষে, ট্রুডোর প্রথম বিমানটি মেরামত করা হলে তিনি দেশের পথ ধরেন।
ট্রুডোর অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিমানটির প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। বিমানটিকে উড়তে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে।’
ট্রুডোকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
রাজীব চন্দ্রশেখর মঙ্গলবার এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সরকারের সহকর্মীদের পক্ষ থেকে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিতির জন্য আমি আজ বিমানবন্দরে জাস্টিন ট্রুডোকে ধন্যবাদ জানাতে হাজির ছিলাম।’
এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিমানে কী ঘটেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার অফিস সোমবার শুধু বলেছিল যে, ‘বিষয়গুলো রাতারাতি সমাধানযোগ্য নয়। কানাডার সশস্ত্র বাহিনী দেশটির প্রতিনিধিদলকে দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে, ভারত গত রবিবার কানাডায় চরমপন্থী খালিস্তানিদের ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সংগঠিত অপরাধ, মাদক সিন্ডিকেট এবং মানব পাচারের সঙ্গে এই ধরনের শক্তির যোগসাজশ কানাডার জন্যও উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত। এই ধরনের হুমকি মোকাবেলায় সহযোগিতা করা দুই দেশের জন্য অপরিহার্য।’
ভারত অটোয়াতে তার হাইকমিশনের বাইরে গত জুনের একটি বিক্ষোভকে আক্রমণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে এবং কানাডার সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা ঘটনাটি তদন্ত করছে।