হঠাৎই ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জনসমক্ষে দেখা যাচ্ছে না শাংফুকে। এই ঘটনা থেকে চীনে গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে, শাংফুকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটুকুই বাকি রয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এর আগে গত জুলাই মাসে চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম গ্যাংও হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। এরপরে জানানো হয়, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তেমন কিছুই ঘটতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত ২৯ অগস্ট বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন-আফ্রিকা শান্তি এবং নিরাপত্তা সম্মেলনে শেষবার জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল শাংফুকে।
তারপর থেকে তিনি কোথায় আছেন, তা নিয়ে নানা বিশ্লেষক নানা ধারণা প্রকাশ করেছেন। বরখাস্ত তত্ত্বের যারা সমর্থক, তাদের বক্তব্য হলো, সেনাবাহিনীতে বড় রদবদল ঘটাতে চলেছে শি জিংপিং প্রশাসন।
সেনাবাহিনীতে দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি শোরগোল পড়েছে চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও। কারণ, বরখাস্ত করা হয়েছে কুইন গ্যাং, লি ইউচাওয়ের মতো শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের। ওই দুর্নীতি রুখতে না পারার কারণেই শাংফুকে বরখাস্ত করা হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
চীনের সেনাবাহিনীর বেশ কিছু গোপন ফাইল প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ উঠেছে বরখাস্ত করা সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ওই অবিযোগের তদন্ত চলছে।
সরকারের বিরাগভাজন হয়ে বরখাস্ত হওয়ার আগে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনা চীনে নতুন কিছু নয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী শাংফুর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম গ্যাংয়ের মতোই পরিণতি হতে চলেছে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।