ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার একটি অত্যাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের একটি গোয়েন্দা সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, কিয়েভের সিকিউরিটি সার্ভিস (এসবিইউ) ও নৌবাহিনী ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোন ব্যবহার করে ইয়েভপাটোরিয়ার কাছে রাশিয়ার একটি স্থাপনায় হামলা চালায়।
সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের পশ্চিমে শহরের কাছে আগুন এবং ধোঁয়া দেখা গেছে। মস্কো এখনও ওই দাবির বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেনি।
কিন্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি এরিয়াল ড্রোন গুলি করেছে এবং একটি নৌ টহল জাহাজের পৃথক আক্রমণকে ব্যর্থ করেছে।
বিবিসির গোয়েন্দা সূত্রের মতে, ওই অভিযানে রাশিয়ার রাডার সরঞ্জামগুলো বের করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। তারপরে বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারগুলোতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন।
সূত্রটি বলেছে, রাশিয়ার রাডার স্টেশনগুলো নিষ্ক্রিয় করার পরে নৌবাহিনীর ইউনিট দুটি নেপচুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এস৩০০ এবং এস৪০০ 'ট্রায়াম্ফ' সিস্টেমে আঘাত করে৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে ইউক্রেনের মিডিয়া জানিয়েছে, স্থানীয় সময় প্রায় বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ক্রিমিয়ার সামরিক ঘাঁটির কাছে ধোঁয়া দেখা যায়।
বিবিসির ভেরিফাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধোঁয়া ওঠার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এটিকে ইয়েভপাটোরিয়াতে হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওই হামলার গুরুত্ব কমিয়ে বলেছে, তারা ক্রিমিয়ায় পাঠানো ১১টি ড্রোন গুলি করে ধ্বংস করেছে।
রাশিয়ার নিযুক্ত ক্রিমিয়ার স্থানীয় কর্মকর্তারা সামরিক স্থাপনা বা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কোনও ক্ষতির কথা জানাননি।
এদিকে, ক্রিমিয়ায় দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করছে ইউক্রেন। গতকাল রাশিয়ার ব্ল্যাক সি নৌবহরের সদরদপ্তর সেভাস্তোপল বন্দরে একটি বড় হামলা চালিয়েছে কিয়েভ।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে, ওই হামলায় রাশিয়ার দুটি নৌজাহাজের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।