রাশিয়ার কাছে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি থেকে বিরত রাখার প্রয়াসে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখবে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। ইরান বলেছে যে তাদের পদক্ষেপ অবৈধ ও উস্কানিমূলক। যা স্পষ্টভাবে পরমাণু চুক্তির শর্তের লঙ্ঘন।
২০১৫ সালে ইরান একটি পারমাণবিক চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল এবং শর্তাবলী অনুসারে, আগামী মাসে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ছিল। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো মনে করে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও মজুদ করে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। অত্যন্ত সমৃদ্ধ এই ইউরেনিয়াম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে বিবেচনায় ইউরোপীয় শক্তিগুলো ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও তারা তাদের নিজস্ব আইনে নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত রাখবে। কিছু পদক্ষেপে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উন্নয়ন এবং রফতানি বন্ধ করার কথাও রয়েছে।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইরানের তৈরি অনেক ড্রোন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করেছে। ইরান আট বছর আগে পি-৫ প্লাস ওয়ান নামে পরিচিত বিশ্ব পারমাণবিক শক্তির একটি দলে অন্তর্ভুক্ত হয়। যেখানে অন্যান্য দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানি। তখন এদের সাথে যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (জেসিপিওএ) চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল ইরান।
২০১৫ সালের সে চুক্তির অধীনে ইরান তার সংবেদনশীল পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করা এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছিল। চুক্তিটি আট বছরের জন্য ইরান থেকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র কেনা, বিক্রি বা স্থানান্তর করতে বাধা দেয়। এসময়ে এসে একটি ‘ট্রানজিশন ডে’ পরিকল্পনা করার মাধ্যমে ইরানকে অবশিষ্ট ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কথা ছিল।
ইরান বলেছে, দেশগুলোর (ই-৩) এমন সিদ্ধান্ত স্পষ্টত (জেসিপিওএ) এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলিউশনের ২২৩১ ধারার অধীনে বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন করেছে। ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত কোনো কার্যকলাপ না করার আহ্বান জানানোর নিন্দা জানিয়েছে দেশটি।