ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদরদপ্তরে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ওই হামলায় অন্তত একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ইউক্রেন তার প্রতি আক্রমণের ক্ষেত্রে ক্রিমিয়াকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। সম্প্রতি উপদ্বীপটি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতির কারণে সেখানকার সামরিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ তীব্র করেছে কিয়েভ, যা ২০১৪ সালে সংযুক্ত করেছিল মস্কো।
ক্রিমিয়ার বৃহত্তম শহর সেবাস্তোপলের গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র নৌবাহিনীর সদরদপ্তরে আঘাত হেনেছে।’
রাজভোজায়েভ বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোগুলো একটি থিয়েটারের কাছে পড়েছে। তাই বাসিন্দাদের সাইটটি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
দ্বিতীয় পোস্টে তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, আরেকটি হামলা আসন্ন হতে পারে। তাই শহরের বাসিন্দাদের তাদের বাড়ির ভেতরে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
অনুরোধ বার্তায় তিনি বলেন, ‘সবাই মনোযোগ দিন! আরেকটি হামলা হতে পারে। দয়া করে শহরের কেন্দ্রে যাবেন না। ভবন ছেড়ে বের হবেন না।’
রাজভোজায়েভ আরও বলেন, ‘যারা নৌবাহিনীর সদরদফপ্তরে কাছে ছিলেন, তারা সাইরেনের শব্দ পেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এগিয়ে যান।’
তিনি বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আগুন নেভানোর জন্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ওই হামলায় এক সেনা নিহত হয়েছে। পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা গুলি করা হয়েছে।’
তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে বেসামরিক পণ্যবাহী জাহাজে নিরাপদ যাতায়াতের অনুমতি দেয়, এমন একটি চুক্তি থেকে মস্কো বেরিয়ে যাওয়ার পর কৃষ্ণসাগর এবং এর আশেপাশে ইউক্রেন ও রাশিয়ার হামলা বেড়েছে।
ইউক্রেন তার মিত্রদেরকে তার সশস্ত্র বাহিনীকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডের খুব ভেতরের অবস্থানগুলো লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।
কিন্তু, পশ্চিমা নেতারা দ্বিধায় ছিলেন যে, ইউক্রেন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেলে রাশিয়ার ভূখণ্ডকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে এবং এর ফলে সংঘাত বাড়তে পারে।
যদিও, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য-উভয়ই কিয়েভ বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল।
ক্রিমিয়ার উপর ক্রমবর্ধমান হামলার অংশ হিসাবে ইউক্রেন চলতি সপ্তাহের শুরুতে বলেছিল যে, এটি সাকি শহরের কাছে একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে।
এদিকে, ইউক্রেনের এসবিইউ সিকিউরিটি সার্ভিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার সময় বিমানঘাঁটিতে অন্তত এক ডজন যুদ্ধবিমান এবং প্যান্টসির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল।
সেখানে এয়ারফিল্ডে ড্রোন অপারেটরদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও রয়েছে, যা ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য ব্যবহার করে রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বাহিনী একটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র এবং দুটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।