চীনের সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকাতে প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সাবমেরিন সাগরে নামিয়েছে তাইওয়ান।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বন্দর নগরী কাওশিউং- এ এটির উদ্বোধন করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে চীন সামরিকভাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আক্রমণ করতে পারে তাইওয়ানে।
পূর্ব চীনের উপকূলে অবস্থিত স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ান যা বেইজিং নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করেন চীন অবিলম্বে তাইওয়ান দ্বীপে আক্রমণ করবে। তবে বেইজিং বলেছে, তারা তাইওয়ানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ‘পুনর্মিলন’ চায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সাই বলেন, আমাদের ইতিহাসে এই দিনটি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ সময় তিনি তাইওয়ানের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে সাবমেরিনের উদ্বোধন করেন।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এর আগেও নিজস্ব প্রযুক্তিতে সাবমেরিন তৈরির কথা ভেবেছি আমরা। তবে বিষয়টি প্রায় অসম্ভবই ছিল, তার পরও আমরা এটি সম্ভব করেছি। নিজস্ব প্রযুক্তিতে সাবমেরিন তৈরি করার প্রকল্পটি তাইওয়ানের অনেক সরকারই বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাইয়ের প্রশাসন বিষয়টিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যায়।
তাইওয়ানের সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, সাবমেরিনটি তৈরিতে ১৫৪ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। ডিজেল-ইলেকট্রিক পাওয়ার চালিত এই সাবমেরিনের নির্মাণকাজ শেষ হলেও কমিশনিংয়ের আগে আরও বেশ কয়েক দফা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে। তারপর ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এটিকে সক্রিয় নৌ টহলে নামানো হতে পারে।