ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারতের মণিপুর রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল। এমন পরিস্থিতিতে শান্তি ফেরাতে ওই অঞ্চলে বিতর্কিত আফস্পা আইন বহাল রেখেছে মণিপুর সরকার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে অঞ্চলটিতে আফস্পা কার্যকর করা হবে। এই আইনের অর্থ সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা।
এর ফলে এলাকার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব কার্যত সেনার হাতে চলে যাবে। দেখামাত্র গুলিও করতে পারবেন সেনা সদস্যরা।
মণিপুরের পাহাড়ে কুকি অধ্যুষিত অঞ্চলে এই আইন জারি হলেও ইম্ফল উপত্যকার অঞ্চলের ১৯টি থানায় এই আইন জারি করা হচ্ছে না। অর্থাৎ, সেনার বিশেষ ক্ষমতা আইন বলবৎ হচ্ছে না মেইতেই অধ্যুষিত উপত্যকায়। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। মেইতেই প্রভাবিত মণিপুর সরকার দ্বিচারিতা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে।
বস্তুত, কিছুদিন আগেই কুকিদের একটি সংগঠন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দুইটি আর্জি জানিয়েছিল। এক, গন্ডগোল বন্ধ করতে ফের আফস্পা জারি হোক এবং দুই, মণিপুরের পাহাড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে পাঠানো হোক আসাম রাইফেলসকে। দ্বিতীয় দাবি মেনে নেয়নি সরকার। প্রথম দাবিটি মানা হলেও তা কেবলমাত্র কুকিদের জন্য বলবৎ হয়েছে।
২০২২ সাল পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই আফস্পা বলবৎ ছিল। ১৯৫৮ সালের এই আইন জঙ্গি দমনের জন্য তৈরি হয়েছিল। যা নিয়ে কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে বার বার বিতর্ক হয়েছে। সেনাবাহিনী ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, এই অভিযোগ বার বার উঠেছে। ২০২২ সালে উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্য থেকে আফস্পা সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু ফের তার জারি করা হলো মণিপুরে।