চলতি মাসে এ পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর পর অপরাধী গ্রুপগুলোর সহিংসতা বন্ধ করতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বৈঠক করবেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন।
ক্রিস্টারসন জানিয়েছেন, তিনি সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সাহায্য চাইবেন।
জাতির উদ্দেশ্যে গত বৃহস্পতিবার এক বিরল টেলিভিশন ভাষণে ক্রিস্টারসন বলেন, ‘সুইডেন আগে কখনও এমন দৃশ্য দেখেনি।ইউরোপের অন্য কোনও দেশ এমন কিছু দেখছে না। এটি সুইডেনের জন্য একটি কঠিন সময়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক ২৫ বছর বয়সি নারী গত রাতে বিছানায় ঘুমাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি আর ঘুম থেকে উঠতে পারেননি। আমরা অপরাধীদের ধরবো, আমরা অপরাধী চক্রকে পরাজিত করব।’
প্রসঙ্গত, গত বুধবার স্টকহোমে পৃথক হামলায় গুলিতে দুজন নিহত হন এবং বৃহস্পতিবার ভোরবেলা উপসালা শহরে বোমা বিস্ফারণে একটি বাড়ি উড়ে গেলে তাতে ২৫ বছর বয়সি এক নারী নিহত হন।
পুলিশের অনুমান অনুসারে, সুইডেনে প্রায় ৩০ হাজার লোক সরাসরি অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িত। দেশটির প্রধান শহর এলাকা থেকে ছোট শহরগুলোতেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে সহিংস অপরাধ আগে বিরল ছিল।
ন্যাশনাল পুলিশ কমিশনার অ্যান্ডার্স থর্নবার্গ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সুইডেনে অপরাধমূলক সংঘাত দেশের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি।’
সুইডেনে গত বছর বন্দুকধারীর গুলিতে ৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা।
চলতি বছর সহিংসতার এই বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ফক্সট্রট নেটওয়ার্ক নামে পরিচিত একটি অপরাধী চক্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষকে উল্লেখ করেছে সুইডিশ মিডিয়া।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে মধ্য সুইডেনে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে একটি আবাসস্থল উড়ে যায়। ওই বিস্ফোরণে অন্তত তিনজন আহত হয়।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছর ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল ক্রিস্টারসনের মধ্য-ডান সরকার। কিন্তু, তারা এখনও পর্যন্ত সহিংসতা থামাতে পারেনি।