ভারতের সঙ্গে কানাডা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ট্রুডো মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) জোর দিয়ে বলেছেন, ‘নয়াদিল্লির সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে অটোয়া।’
প্রসঙ্গত, খালিস্তানি নেতা হত্যা হারদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ চরমে পৌঁছেছে।
অটোয়াতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রুডো আরও বলেন, কানাডার জন্য ভারতের মাটিতে কূটনীতিক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, লন্ডনভিত্তিক ফিনান্সিয়াল টাইমসের (এফটি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে কাজ করা ৬২ কানাডার কূটনীতিকদের মধ্যে ৪১ জনকে প্রত্যাহারের জন্য অটোয়াকে নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লি।
ট্রুডো বলেছেন, ‘অবশ্যই, আমরা এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি অবশ্য এফটি রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করেননি যে, কানাডাকে তার দেশ থেকে ৪১ কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে বলেছে ভারত।
জবাবে ভারতকে কানাডায় অবস্থিত কূটনীতিকদের অপসারণ করতে বলে তার সরকার প্রতিশোধ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রুডো জোর দিয়ে বলেন, তার সরকার নয়াদিল্লির সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আর উত্তেজনা বাড়তে দিতে চাই না। আমরা সেই কাজটি করতে যাচ্ছি, যা এই অত্যন্ত কঠিন সময়ে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় গত ১৮ জুন খালিস্তানি নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন ট্রুডো।
তার ওই অভিযোগের পর গত মাসে ভারত ও কানাডার মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। ক্ষুব্ধ ভারত কানাডার অভিযোগগুলোকে অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, দুই মুখোশধারী বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন নিজ্জার। ভারত ২০২০ সালে নিজ্জারকে সন্ত্রাসী হিসাবে ঘোষণা করেছিল।
অন্যদিকে, ভারত ইতিমধ্যেই কানাডিয়ানদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভারত ও কানাডার সরকারকে একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং দেখতে হবে যে, তারা কীভাবে এই ইস্যুতে তাদের মতপার্থক্যগুলো সমাধান করতে পারে।