ইসরায়েলের উপর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রতি ইরানের সহানুভূতি অগ্রহণযোগ্য বলে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
তিনি বলেন, ‘ইরানের সরাসরি সম্পৃক্ততা সম্পর্কে আমার কোনও মন্তব্য নেই। কারণ, ওই বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রমাণ নেই। তবে এটা স্পষ্ট যে, ইসরায়েলে হামলার বিষয়ে ইরানী কর্তৃপক্ষের প্রকাশ্য মন্তব্যগুলো অগ্রহণযোগ্য ছিল।’
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘ওই হামলার পেছনে কে বা কারা আছে তা না জানা পর্যন্ত আমরা সতর্ক থাকব।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, মাখোঁ ও স্কোলজ-উভয়েই তাদের বক্তব্যে নিজ ভূখণ্ডে হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের উপর জোর দেন।
মাখোঁ বলেন, ‘আমি আশা করি আগামী দিনগুলোতে নিজ ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে যেকোনও হামলা বন্ধ করতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে সক্ষম হবে ইরায়েল।’
ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপের ফিলিস্তিনিদের প্রতি আর্থিক সহায়তা বন্ধ করা উচিত কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে মাখোঁ বলেন, ‘বেসামরিক জনগণের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মানবিক অধিকারের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে মিলিয়ে ফেলা উচিত নয়।’
এদিকে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রতি জোরালো সমর্থন জানালেও ইসরায়েলে হামাসের শক উইকএন্ড হামলায় ইরানের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
তিনি এক বক্তৃতায় মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বলেন, ‘ইহুদিবাদী শাসনের সমর্থক ইসরায়েল এবং দখলকারী শাসনের স্বপক্ষের কিছু লোক গত দুই-তিন দিন ধরে গুজব ছড়াচ্ছে যে, হামাসের হামলার পেছনে ইরান রয়েছে। তারা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ফিলিস্তিনকে রক্ষা করি, আমরা তাদের সংগ্রামকে রক্ষা করি।’
তিনি সমগ্র ইসলামী বিশ্বকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করার আহ্বানও জানান।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল সামরিক ও গোয়েন্দা-উভয় ক্ষেত্রেই অপূরণীয় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সবাই তাদের ব্যর্থতার কথা বলেছে। আমি তাদের অপূরণীয় ক্ষতির উপর জোর দিচ্ছি।’