ইসরায়েল, গাজা এবং পশ্চিমতীর থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করার পরিকল্পনা করছে কানাডা।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি এক্স-এর মাধ্যমে ঘোষণা করেছেন যে, তারা কানাডায়ার সশস্ত্র বাহিনীর বিমান ব্যবহার করে তেল আবিব থেকে কানাডার নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
তিনি আরও বলেছেন, ‘ওই ফ্লাইটগুলো কানাডার নাগরিক, তাদের স্ত্রী এবং তাদের সন্তানদের জন্য ব্য্হৃত হবে।’
জোলির বিবৃতি অনুসারে, যারা তেল-আবিব বিমানবন্দরে পৌঁছাতে অক্ষম তাদের জন্য কানাডা আরও বিকল্প খুঁজছে। কানাডার নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে তেল-আবিব, রামাল্লা এবং অটোয়ার দলগুলো।
এখন পর্যন্ত বোয়িং ৭৩৭, হারকিউলিস এবং সি-২৯৫ পরিবহন বিমান ব্যবহার করে যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই পশ্চিম এশীয় অঞ্চল থেকে প্রায় ২৫০ জন নাগরিক এবং বেশিরভাগ পর্যটকদের সরিয়ে নিয়েছে পোল্যান্ড।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো তার নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার অগ্রগতি ফেসবুকে জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে গত রবিবার ২১৫ জন হাঙ্গেরিয়ানকে এয়ারলিফট করা হয়েছে এবং সোমবার আরও ১১০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে, সুইজারল্যান্ডও বাণিজ্যিক বিমান ব্যবহার করে তার নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং স্পেন ইতিমধ্যে তার নাগরিকদের এয়ারলিফট করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত সরকারি সহায়তায় যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে তার নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।
যদিও ১০ অক্টোবর একটি উচ্চতর সতর্কতা জারি করেছে ওয়াশিংটন। ওই সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের পরিস্থিতি গতিশীল রয়েছে। কোনও প্রকার সতর্কতা ছাড়াই মর্টার এবং রকেট ফায়ার হতে পারে। তাই সকলের নিরাপত্তা এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করা উচিত।’
সতর্ক বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘অনুগ্রহ করে ফ্লাইটের অবস্থা সম্পর্কে এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে কথা বলুন৷ গাজার মার্কিন নাগরিক যারা চলে যেতে চান এবং তারা নিরাপদে তা করতে পারেন। তাদের মিশরে রাফাহ ক্রসিংয়ের অবস্থা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
ভারতও ওই অঞ্চল থেকে তার নাগরিকদের সরানোর কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তবে, সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ফোনালাপে ইসরায়েলে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছিল।
এর পর ভারতের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পূর্ণ সহযোগিতা ও সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।