আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর বৃহস্পতিবার (১২ ) প্রথম বিদেশ সফরে কিরগিজস্তানে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে পুতিন কদাচিৎ বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এবং ২০২৩ সালে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর থেকে কিরগিজস্তানে পা রাখার আগ পর্যন্ত নিজ দেশের অভ্যন্তরেই ছিলেন।
মস্কো টাইমস জানিয়েছে, কিরগিজস্তান আইসিসির সদস্যদেশ নয়। তাই পরোয়ানা মাথায় নিয়ে সফরে গেলেও পুতিনকে গ্রেপ্তার করার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা দেশটির নেই।
আইসিসি পরোয়ানার কারণে গত জুলাই মাসে পুতিন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রিকস সম্মেলনে এড়িয়ে যান, কারণ, দেশটি আইসিসি সদস্য।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন আক্রমণের সময় ইউক্রেনীয় শিশুদের রাশিয়ায় নির্বাসনের অভিযোগে হেগভিত্তিক আইসিসি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
মধ্য এশিয়ায় এই সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রে দুই দিনের সফরে আঞ্চলিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও এবং কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস (সিআইএস) নামে পরিচিত মস্কো-নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক গ্রুপিংয়ের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন পুতিন।
কিরগিজস্তান সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পুতিনকে কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভের পরিবর্তে দেশটির মন্ত্রী পরিষদের চেয়ারম্যান অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন পুতিনকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এদিকে, পুতিন সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের উপর প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।
কিরগিজস্তান গত মঙ্গলবার বলেছে, আর্মেনিয়ান নেতা নিকোল পাশিনিয়ান ইয়েরেভান এবং মস্কোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিবাদের কারণে সিআইএস শীর্ষ সম্মেলন এড়িয়ে যাবেন।