ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় শহর আরাসের লিসি গাম্বেটা হাইস্কুলে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ছুরি হামলায় এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ওই হামলার তদন্তটি সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাস-ডি-ক্যালাইসের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন আততায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সন্দেহভাজন একজন রাশিয়ার বংশোদ্ভূত চেচেন এবং লিসি গাম্বেটা হাইস্কুলের সাবেক ছাত্র। সূত্রটি আরও বলেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি উগ্র ইসলামবাদের সঙ্গে জড়িতদের ওয়াচলিস্টে ছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার সময় আততায়ী ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করছিলেন। বিএফএম টিভি জানিয়েছে, তার বয়স প্রায় ২০ বছর।
স্কুলটির দর্শনের শিক্ষক মার্টিন ডুসাউত আক্রমণকারীর তাড়া খেয়ে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে নিজেকে সক্ষম হন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই হতবাক হয়ে গেছি।’
বিএফএম টিভি আরও বলেছে, নিহত ব্যক্তি একজন ফরাসি ভাষার শিক্ষক। এটি আরও জানিয়েছে, হামলার সময় ছাত্ররা তাদের শ্রেণীকক্ষের ভেতরে ছিল।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গতকাল বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে এক টেলিভিশন ভাষণে ফরাসিদের ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং ইসরায়েল-হামাস সংঘাতকে সেদেশে টেনে আনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারীর ভাইকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফ্রান্স বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিক উগ্র ইসলামবাদীদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ ঘটনাটি ছিল ২০১৫ সালের নভেম্বরে। সেসময় একযোগে প্যারিসের বিনোদন স্থান এবং ক্যাফেতে হামলাবন্দুকধারী এবং আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় উগ্র ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীরা।
২০২০ সালে একজন শিক্ষক এক চেচেন কিশোরের দ্বারা শিরশ্ছেদের শিকার হয়েছিলেন। ওই কিশোর বাকস্বাধীনতার ক্লাস চলাকালীন নবী মোহাম্মদকে ব্যঙ্গ করে কার্টুন ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন।