হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) পাবলিক রেডিওকে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সমর্থন করে এমন কোনও সমাবেশের অনুমতি দেবে না হাঙ্গেরি।’
রয়টার্স জানিয়েছে, তিনি আরও বলেছেন, ‘সকল হাঙ্গেরির নাগরিকদের তাদের ভিন্ন বিশ্বাসবোধ নির্বিশেষে নিরাপদ বোধ করা উচিত।’
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হলোকাস্টের পর থেকে ইহুদি বেসামরিকদের উপর সবচেয়ে মারাত্মক হামলার প্রতিশোধের জন্য গাজা উপত্যকায় শাসনকারী হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল।
অরবান বলেন, ‘এটি দুঃখজনক যে, ইউরোপজুড়ে সন্ত্রাসীদের সমর্থন করে সহানুভূতি প্রকাশ করা হচ্ছে।’
ইসরায়েলি নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মিত্র অরবান বলেছেন, ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।’
তবে ওই সংঘাত যেন অন্য দেশে ছড়িয়ে না পড়ে এবং সমগ্র অঞ্চলকে অস্থিতিশীল না করে, সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, হামাসের সাবেক প্রধান খালেদ মেশাল শুক্রবার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে প্রতিবেশী দেশগুলোর জনগণকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার জন্য মুসলিমবিশ্বকে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে বুদাপেস্টে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে ফিলিস্তিনের সমর্থনে একটি সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছিল।
অরবান বলেছেন, ‘হাঙ্গেরিতেও সমাবেশের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, আমরা কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন করে সহানুভূতি প্রকাশে সমাবেশের অনুমতি দেব না। কারণ, এটি হাঙ্গেরির নাগরিকদের জন্য সন্ত্রাসী হুমকির কারণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোন হাঙ্গেরিয়ানকে অনিরাপদ বোধ করতে দিতে পারি না।’