গাজায় চলমান সংঘাত নিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) পৃথক ফোন কলে দুজনের সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ফোনালাপের বিয়ষটি নিশ্চিত করে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এই প্রথম ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বললেন বাইডেন।
বাইডেন আব্বাসকে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য, বিশেষ করে গাজায় জরুরিভাবে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় চলমান সংঘাত যাতে আর না বাড়ে তার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য আলোচনা করেছেন। এবং তাদের সঙ্গে পশ্চিম তীর এবং বৃহত্তর অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
হোয়াইট হাউস বলেছে, বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থনের অটুট জোর দিয়েছেন। বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার বিষয়ে জাতিসংঘ এবং আঞ্চলিক দেশগুলির সঙ্গে মার্কিন সমন্বয় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের এক সপ্তাহে এখন পর্যন্ত ১৩০০ ইসরায়েলি ও ২ হাজার ২১৫ ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলের বিমান হামলার মুখে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার কোথাও আর নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এমনকি তাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে উপত্যকাটিতে খাওয়ার পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। জবাবে সেদিনই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী। পরদিন উপত্যকাটি পুরোপুরো অবরোধ করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস, খাবার ও পানির সরবরাহ। এতে করে চরম সংকটে পড়েন গাজাবাসী।