কাতারের মধ্যস্থতায় ইুক্রেনের শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে দোহা।
দেশটি বলেছে, প্রথম ধাপে চার ইউক্রেনীয় শিশুর প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করা হচ্ছে এবং বাকি শিশুদের জন্য প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে এটি প্রথম ধাপ হিসাবে আশা করা হচ্ছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই থেকে ১৭ বছর বয়সি ওই চার শিশুকে মস্কোর কাতার দূতাবাস গ্রহণ করেছে। এবার তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
কাতারের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের শিশুদের প্রত্যাবাসন একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ার অংশ, যা কাতার কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষের সঙ্গে গোপনে আলোচনা করেছে।’
প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মন্তব্য করে কাতারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লোলওয়াহ আল-খাতার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ আমরা একতার শক্তি উদযাপন করছি। কারণ, আমরা শিশু এবং তাদের পরিবারের পুনর্মিলন প্রত্যক্ষ করছি। আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কাতার রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ওই হৃদয়গ্রাহী সাফল্যকে সহজতর করতে সহায়ক হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মানবিক কারণে আমাদের প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আশা করি যে, আমাদের সহযোগিতা আশা এবং সহানুভূতির একটি অনুপ্রেরণামূলক প্রতীক হয়ে থাকবে।’
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া তাদের দখলে থাকা দেশ বা ভূখণ্ডে ২০,০০০ শিশুকে রাশিয়ায় সরিয়ে নিয়ে গেছে। ২০২২ সালের মে মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি ডিক্রি স্বাক্ষর করেছিলেন, যা রাশিয়ানদের জন্য পিতামাতার যত্ন থেকে বঞ্চিত ইউক্রেনের শিশুদের দত্তক নেওয়া সহজ করে তোলে।
ইউক্রেনের শিশুদের রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেকসেয়েভনা লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
আইইসসি তখন বলেছিল, পুতিন এবং মারিয়া যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী। কিন্তু, উভয় ব্যক্তিই আইসিসির ওয়ারেন্ট এবং অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।