মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে কানাডা তার নাগরিকদের লেবানন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘গাজা, পশ্চিমতীর এবং ইসরায়েলে সঙ্কট যখন উদ্ভাসিত হচ্ছে, তখন এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছে।’
আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, জোলি বলেন, ‘লেবাননের কানাডিয়ানদের জন্য বাণিজ্যিক ফ্লাইট থাকাকালীন দেশটি ছেড়ে যাওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত।’
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তাদের আন্তর্জাতিক কর্মীদের লেবানন ছেড়ে চলে যেতে বলেছে।
এদিকে, ওয়াশিংটন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, লেবাননের হিজবুল্লাহ উত্তর দিক থেকে ইসরায়েল আক্রমণ করতে পারে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল ভূখণ্ডে আটকা পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিদেশি এবং দ্বৈত নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের আটকে থাকা নাগরিকদের একটি দল অবশেষে সোমবার (১৬ অক্টোবর) ইসরায়েল ছাড়তে সক্ষম হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বহনকারী রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের একটি প্রমোদতরী সাইপ্রাসের উদ্দেশে ইসরায়েল ছেড়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এর আগে, রোববার ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রমোদতরীটি সোমবার হাইফা বন্দর ছেড়ে যাবে এবং সাইপ্রাসের লিমাসোল বন্দরে পৌঁছানোর আগে সমুদ্রে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাটাবে। নাগরিকরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রমোদতরীতে থাকবেন এবং লিমাসোল বন্দর থেকে পরবর্তী ভ্রমণের ব্যবস্থা তাদের নিজেদেরই করতে হবে।
এরই প্রেক্ষিতে আটকে থাকা নাগরিকরা সোমবার সকাল থেকেই ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে অবস্থান নেন। জেরুজালেমে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস রবিবার নিরাপত্তা সতর্কতা জারি ও তা অনুসরণের পরামর্শ দেওয়ার পর হাইফা বন্দরে ভিড় জমাতে শুরু করেন তারা।
নিরাপত্তা সতর্কতায় বলা হয়, ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধের কারণে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় মার্কিন নাগরিক এবং তাদের স্বজনদের জন্য হাইফা বন্দর থেকে সাইপ্রাসের উদ্দেশ্যে একটি প্রমোদতরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রমোদতরীতে করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রথমে সাইপ্রাস এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটে উঠতে পারবেন তারা।
ইসরায়েলের কাৎজরিন শহরে থেরাপিস্ট হিসেবে কাজ করতেন আরিয়েলা কেশেট। চার সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ইসরায়েল ছেড়েছেন তিনি। কেশেট বলেন, ‘অবশেষে ইসরায়েল ছাড়তে পেরে আমি খুশি। আমি মনে করি, যুদ্ধের মাঝে চলে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।’