ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ভয়াবহ ওই হামলায় ৫০০ জন নিহত হন।
জাতিসংঘসহ মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো হাসপাতালে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, গাজা উপত্যকায় হাসপাতালে হামলা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।
হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ একে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে কেউ চুপ থাকতে পারে না। এভাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা ‘মানবতার জন্য লজ্জাজনক’।
হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় শত শত মানুষের মৃত্যুকে ‘জঘন্য অপরাধ’ অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি এই হামলাকে ‘ভয়াবহ এবং একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ নয় বলে অভিহিত করেছেন।
হামলার নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ের এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েল যে ন্যুনতম মানবিক মূল্যবোধেরও তোয়াক্কা করছে না গাজায় হাসপাতালে হামলা তার সর্বশেষ উদাহরণ। গাজায় ‘নজিরবিহীন নৃশংসতা’ বন্ধে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নারকীয় এই হামলার পর মানবতার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, টাইম ইজ ওভার।
হাসপাতালে বোমা হামলার ঘটনায় এখন প্রশ্ন উঠেছে ইসরায়েল-আরব স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম নিয়ে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কো তিনটি দেশ যারা ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। তারাও আল-আহলি হাসপাতালে বোমা হামলার নিন্দা করেছে এবং হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তবে এ দাবি প্রত্যাখান করেছে ইসরায়েল।