লিঙ্গভিত্তিক অসম বেতন কাঠামো এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার প্রতিবাদে দেশজুড়ে কয়েক হাজার নারীর সঙ্গে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) যোগ দিয়েছেন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাট্রিন জ্যাকবসদিত্তির।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই বিক্ষোভের নামকরণ করা হয়েছে ‘কভেনাফ্রি’ বা ‘নারীদের কর্মবিরতি।’
বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৭৫ সালের পর আইসল্যান্ডের নারীরা মঙ্গলবারই প্রথম পূর্ণ দিনের ধর্মঘট পালন করলো।
ধর্মঘটে নারীরা তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের সহকর্মীদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবাদের অংশ হিসাবে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নারী এবং নন-বাইনারী লোকদের বেতন এবং অবৈতনিক কাজ প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবাদের আগে জ্যাকবসদিত্তির বলেন, ‘আমি আজ কাজ করবো না। আমি আশা করি, মন্ত্রিসভায় থাকা সমস্ত নারীরাও এটাই করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষদের দ্বারা আধিপত্যবাদী ক্ষেত্রের তুলনায় নারীপ্রধান পেশাকে কীভাবে মূল্যায়ন করা হয়, তা খতিয়ে দেখছে তার সরকার।
তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন যে, আমরা এখনও সম্পূর্ণ লিঙ্গ সমতার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি এবং আমরা এখনও লিঙ্গভিত্তিক মজুরি ব্যবধান মোকাবিলা করছি, যা ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে অগ্রহণযোগ্য। আমরা এখনও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা করছি।’
তিনি বলেন, তার সরকার ২০২২ সালের মধ্যে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতনের ব্যবধান দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে আইসল্যান্ডের সর্ববৃহৎ কর্মী সংগঠন ফেডারেশন অফ দ্য পাবলিক ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ইন আইসল্যান্ড (বিএসআরবি), আইসল্যান্ডিক নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন এবং আইসল্যান্ডিক অ্যাসোসিয়েশন অফ উইমেন অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্যান্য সংগঠনগুলো।
আইসল্যান্ডিক টিচার্স ইউনিয়নের মতে, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের ৯৪ শতাংশসহ শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে নারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
সংগঠনটি আরও বলেছে, আইসল্যান্ডের বৃহত্তম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মীও নারী।