দাগেস্তানের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের একটি বিমানবন্দরে ইসরায়েলবিরোধী দাঙ্গায় ‘মূল ভূমিকা’ পালনের অভিযোগে ইউক্রেনকে সোমবার (৩০ অক্টোবর) অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২৯অক্টোবর) কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী, যাদের মধ্যে অনেকেই ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিয়ে মাখাচকালা বিমানবন্দরের দরজা ভেঙ্গে রানওয়েতে ঢুকে ইসরায়েল থেকে আগত ইহুদি যাত্রীদের আক্রমণ করার চেষ্টা করেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অপরাধী কিয়েভ সরকার সর্বশেষ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও মূল ভূমিকা পালন করেছে।’
মস্কোর ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিয়েভের কাছ থেকে কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য এএফপির অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ক্রেমলিন সোমবার জানিয়েছে যে, দাঙ্গাটি বহিরাগত হস্তক্ষেপের ফলাফল।
এদিকে, ওই ঘটনার পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার সমাজকে বিভক্ত করার পশ্চিমা প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করার জন্য রাশিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক আহ্বান করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
উল্লেখ্য, মস্কো প্রায় নিয়মিতই তার দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার জন্য বহিরাগত এবং সাধারণত পশ্চিমা হস্তক্ষেপকে দায়ী করে থাকে।
জাখারোভা বলেন, ‘দাঙ্গার বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়ার তৎপরতাই নাশকতার প্রত্যক্ষ প্রমাণ।’
জেলেনস্কি রবিবার বলেছিলেন যে, ‘দাঙ্গাটি মাখাচকালায় একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।’
জাখারোভা বলেন, দাঙ্গার পরিকল্পনার জন্য রাশিয়ার সাবেক আইনপ্রণেতা ইলিয়া পোনোমারেভকে ব্যবহার করেছে কিয়েভ।
পোনোমারেভ, যিনি ইউক্রেনে পালিয়ে গিয়ে ২০১৯ সালে ইউক্রেনের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন।
তিনি ক্রেমলিনের তীব্র সমালোচক এবং ইউক্রেনে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি মস্কোবিরোধী নাশকতামূলক গোষ্ঠী এবং পক্ষপাতমূলক কাজের পেছনে রয়েছে বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া।
পোনোমারেভ পূর্বে উট্রো দাগেস্তান (দাগেস্তান মর্নিং) নামক টেলিগ্রাম চ্যানেলকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছিলেন, যা রবিবার বিমানবন্দরে ওই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। পোনোমারেভও তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য এএফপির অনুরোধের জবাব দেননি।