ইউক্রেনে সরবরাহ করা কিছু পশ্চিমা অস্ত্র অবৈধ অস্ত্রের বাজারের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে এবং তালেবানদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে বলে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিন বলেন, ‘তারা বলছে ইউক্রেন থেকে অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে আসছে। অবশ্যই সেগুলো বিক্রি হচ্ছে বলেই তারা বলছেন। তালেবানদের কাছে ওই সব অস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা প্রেরণের পর থেকে পশ্চিমা শক্তিগুলো রাশিয়ার সেনাদের পরাজিত করার প্রয়াসে ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র পাঠিয়েছে।
ইউক্রেন দাবি করেছে যে, পশ্চিমাদের সরবরাহ করা অস্ত্রের উপর তারা কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখছে।
কিন্তু, কিছু পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ওই অস্ত্রে রক্ষনাবেক্ষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দুর্নীতির ইস্যু মোকাবিলার জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
২০২২ সালের জুনে ইন্টারপোলের প্রধান জার্গেন স্টক সতর্ক করেছিলেন যে, ইউক্রেনে পাঠানো কিছু উন্নত অস্ত্র অপরাধ গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে।
অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা সম্পর্কে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ এক প্রতিবেদনে গত মার্চ মাসে বলেছিল, ‘প্রতিটি নজির এই পরামর্শ দেয় যে, যদি হুমকিটি সক্রিয়ভাবে মোকাবিলা করা না হয়, তবে যুদ্ধ শেষে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রগুলো নৈরাজ্যের কেন্দ্র উঠতে পারে, যেটি আফ্রিকার বিদ্রোহী থেকে ইউরোপের রাস্তার গ্যাংস্টার পর্যন্ত সবাইকে সশস্ত্র করতে পারে।’
কিয়েল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আটটি বৃহত্তম পশ্চিমা দাতারা ইউক্রেনকে কমপক্ষে ৮৪ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার মধ্যে মিমি হাউইটজার, ১০৯ ব্র্যাডলি ফাইটিং যান, ১১১ মিলিয়নেরও বেশি রাউন্ড ছোট অস্ত্র গোলাবারুদ এবং ৩৮টি উচ্চ গতিশীল আর্টিলারি রকেট সিস্টেম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।