কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের চিঠি

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-12-17 15:53:35

কাশ্মীরের  স্বায়ত্তশাসন বাতিল করতে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করাকে বৈধ বলে রায় দেওয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ, ওআইসি ও ইইউতে চিঠি পাঠায় পাকিস্তান। দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি এ চিঠি লিখেছেন।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘বেআইনি’ দাবি করে এর বিরুদ্ধে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে চিঠি লিখে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস জিলানি  এসব চিঠিতে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে যে বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড স্বীকৃত, তার মর্যাদা আভ্যন্তরীণ আইন বা বিচার বিভাগীয় রায়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা যায় না। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জম্মু ও কাশ্মীরকে বেআইনিভাবে দখল করছে এং সেখানকার মানুষদের অধিকারকে দমন করছে বলে তিনি এর নিন্দা জানান।

চিঠিতে জিলানি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের বিরোধের কথা স্বীকৃত। এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় রায়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত মর্যাদা নির্ধারণ করা যায় না। কাশ্মীরের মর্যাদা কী হবে সে সিদ্ধান্ত দিতে পারে না ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এক্ষেত্রে তিনি জাতিসংঘের রেজ্যুলুশন বাস্তবায়নের দাবি জানান।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ভারত সরকার ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বেআইনি এবং একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সিদ্ধান্ত এবং তার পর আরও ধারাবাহিক অনেক পদক্ষেপের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের জনসংখ্যা তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে বদলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, এসব বেআইনি পদক্ষেপের সুস্পষ্টত লক্ষ্য হলো নিজেদের ভূখণ্ডে কাশ্মীরিদেরকে ক্ষমতাহীন করে দেওয়া।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করতে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করাকে বৈধ বলে রায় দিয়েছে। এই রায় আন্তর্জাতিক আইন এবং সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘের রেজ্যুলুশন ১২২(১৯৫৭)-এর লঙ্ঘন বলে দাবি করেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিলানি। 

তিনি বলেন, ভারতের এসব বেআইনি পদক্ষেপ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ধারা উপধারাকে টপকে যেতে পারে না। চিঠিতে তিনি জম্মু কাশ্মীরের বিরোধ বিষয়ক তাদের রেজ্যুলুশনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি। একই সঙ্গে সেখানে ভারতের ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। 

চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার তা বন্ধ বা অবৈধ ঘোষণা করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর