একটি নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথিত সম্পর্কের কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন বিষয়ক উপদেষ্টা আহাদ চিমাকে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) তার পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির শীর্ষ নির্বাচনী সংস্থা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, চিমাকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয় এবং ইমরান খানের সরকারের সময় দুর্নীতির অভিযোগে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, পরে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চিমা এবং অন্য দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে (ইসিপি) গত অক্টোবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ আজিজুদ দিন কাকা খেল।
তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, চিমা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অংশ হওয়ার কারণে নির্বাচনের স্বচ্ছতা সম্ভব নয়। ওই অভিযোগে বলা হয়, সরকার যদি স্বচ্ছ নির্বাচন চায় তাহলে চিমাকে পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।
অভিযোগকারী চিমা ছাড়াও প্রাইভেটাইজেশন এবং আন্তঃপ্রাদেশিক সমন্বয় মন্ত্রী ফাওয়াদ হাসান ফাওয়াদ এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ডঃ তৌকির হুসেন শাহের অপসারণও চেয়েছিলেন।
অভিযোগকারীর যুক্তি শোনার পর ইসিপি জানিয়েছে, ‘চিমার বিরুদ্ধে আবেদনগুলো যৌক্তিক বলে তা গ্রহণ করা হয়েছে এই ভিত্তিতে যে, তিনি পূর্ববর্তী সরকারের অংশ ছিলেন এবং এইভাবে তিনি অব্যাহত থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে প্রভাবিত করতে পারেন।’
অতপর চিমাকে তার পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেয় ইসিপি এবং অবিলম্বে এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেয়।
কিন্তু, পিএমএল-এনের সাথে সম্পর্ক থাকা সামি সাইদ, উমর সাইফ, শহীদ আশরাফ তারার এবং জাহানজাইব খানসহ অন্যান্য পরিচিত মুখ এখনও তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভায় রয়েছেন।
তাদের বর্তমান দায়িত্বের বিরুদ্ধে ইসিপির স্পষ্ট অবস্থান সত্ত্বেও তারা এখনও সরকারের অংশ রয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।