জাপান শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, তারা অস্ত্র রপ্তানি নির্দেশিকা সংশোধন করার পরে যুক্তরাষ্ট্রে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, শান্তিবাদী দেশ হিসাবে পরিচিত এই দেশটি নয় বছরের মধ্যে এই ধরনের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে প্রথম বড় আকারের পরিবর্তন আনলো।
ঘোষণাটি এমন সময় আসলো যখন জাপান মারাত্মক অস্ত্র রপ্তানির অনুমতি না দেওয়ার পক্ষে দীর্ঘকাল ধরে অবস্থান গ্রহণ করেছিল।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিকের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাপূর্ণ নিরাপত্তা পরিবেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা শিল্পকে বাড়িয়ে তুলতে চাচ্ছে জাপান।
ওই ঘোষণার পর মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, ‘জাপান-মার্কিন জোটকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এটির তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ রয়েছে। এটি শুধুমাত্র জাপানের নিরাপত্তা নয়, বরং বিস্তৃত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায়ও অবদান রাখবে।’
বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপানের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগার পুনরায় মজুত করতে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।’
প্যাট্রিয়ট সিস্টেম হলো রাশিয়া আক্রমণের পর ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য পশ্চিমাদের দ্বারা সরবরাহ করা অত্যাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলোর একটি।
পূর্ববর্তী নিয়ম অনুসারে, জাপান শুধুমাত্র অস্ত্রের উপাদান রপ্তানি করতে পারত এবং সম্পূর্ণ অস্ত্র সরবরাহ করা নিষিদ্ধ ছিল।
সংশোধিত নির্দেশিকাগুলো এখন টোকিওকে সেই সমস্ত দেশে সম্পূর্ণ পণ্য রপ্তানি করার অনুমতি দিচ্ছে, যেখানে পেটেন্ট হোল্ডার রয়েছে। তাই তৃতীয় দেশে পুনরায় রপ্তানির জন্য টোকিওর অনুমতি লাগবে।
জাপান মার্কিন কোম্পানি রেথিয়ন এবং লকহিড মার্টিনের লাইসেন্সের অধীনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে থাকে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টোকিও বিএই সিস্টেমের লাইসেন্সের অধীনে তৈরি ১৫৫ মিমি আর্টিলারি শেল যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করার কথাও বিবেচনা করছে।
জাপানের ওই সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, লাইসেন্সধারী দেশটি একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করলে রপ্তানি বিবেচনা করা হবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এই ধরনের অনুরোধ করা একমাত্র দেশ।’
জাপানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রহম ইমানুয়েল এটিকে একটি এবং একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘জাপান আগামী প্রজন্মের প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে।’