ইকুয়েডরের বন্দর শহর গুয়াকিলের একটি কারাগার থেকে নিখোঁজ হয়েছেন দেশটির এক মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী।
দেশটির কর্তৃপক্ষ ওই মোস্ট-ওয়ান্টেড অপরাধীকে খুঁজে বের করার জন্য একটি অনুসন্ধানে পুলিশের শত শত কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করেছে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইকুয়েডরের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, দেশটির বৃহত্তম এবং কথিত সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগার কমপ্লেক্স থেকে ফিটো নামে কুখ্যাত অপরাধীর পলায়নের তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ।
ইকুয়েডরের জাতীয় পুলিশ কমান্ডার জেনারেল সিজার জাপাতা গত রবিবার (৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী কারাগারে একজন বন্দীকে নিখোঁজ বলে সনাক্ত করেছে।’
তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত ফিটোর হদিস এবং পালানোর উপায় অজানা রয়ে গেছে।
প্রেস কনফারেন্সে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র রবার্তো ইজুরিয়েটা বলেছেন, ‘৩ হাজারেরও বেশি আইন প্রয়োগকারী কর্মী এখন তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই অপারেশন সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিতে পারছি না। আমরা নিশ্চিত যে, সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ তাদের পেশাদারিত্বের সাথে, আমরা এই অনুসন্ধান সফলভাবে শেষ করব।"
প্রসসঙ্গত, এই ফিটো ইকুয়েডরের অন্যতম বিপজ্জনক অপরাধী হিসাবে পরিচিত। তিনি মাদক পাচার এবং চাঁদাবাজিতে জড়িত। অন্যান্য গ্যাংগুলোর মতো তার গ্যাং লস চোনেরোসের অপরাধমূলক কার্যকলাপ মেক্সিকোর সিনালোয়া কার্টেলের অপারেটিং বাহু হিসেবেও কাজ করে বলে মনে ধারণা করা হয়।
ফিটোকে ২০১১ সাল থেকে আটক করা হয়েছিল। ফিটো মাদক পাচার, সংগঠিত অপরাধের জন্য ৩৪ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন।
ফিটোকে একটি সাম্প্রতিক বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিকে হত্যার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। .
ভিলাভিসেনসিও গত আগস্টে দেশটির রাজধানী কুইটোতে নিহত হন। তার মৃত্যুর কয়েক দিন আগে ভিলাভিসেনসিও বলেছিলেন যে, তিনি এবং তার দল ফিটো এবং লস চোনেরোসের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন। হত্যার তিন দিন পর ফিটোকে লা রোকা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগারে পাঠানো হয়।