ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত লাই চিং-তেকে নির্বাচনী বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানানোর পর ‘আগুনের নিয়ে না খেলতে’ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ম্যানিলাকে সতর্ক করেছে বেইজিং প্রশাসন।
রয়টার্স জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে চীন।
তাইওয়ানের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য মার্কোস গত সোমবার লাই-কে অভিনন্দন জানিয়ে এবং তাকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে উল্লেখ করার পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণলয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘চীন এই মন্তব্যগুলোর কারণে ভীষণ অসন্তুষ্ট এবং দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করে।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণলয়ের মুখপাত্র মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট মার্কোসের প্রাসঙ্গিক মন্তব্য এক চীন নীতির গুরুতর লঙ্ঘন এবং বেইজিংয়ের প্রতি ফিলিপাইনের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির একটি গুরুতর লঙ্ঘন। এটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ব্যাপক হস্তক্ষেপের সামিল।’
মাও বলেন, ‘চীন দ্রুত ফিলিপাইনকে তার দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং তার রাষ্ট্রদূতকে ওই ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডেকেছে।’
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবারের এক বিবৃতিতে দেশটির ‘এক চীন নীতি’র নীতির প্রতি সমর্থন পুনঃনিশ্চিত করে বলেছে, ‘মার্কোসের বার্তাটি ফিলিপাইন এবং তাইওয়ানের পারস্পরিক স্বার্থকে স্বীকৃতি দিতে চায়। কারণ, ২ লাখ ফিলিপিনো কর্মী গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত ওই দ্বীপে রয়েছে।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘একটি সফল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য তাইওয়ানকে ধন্যবাদ জানানো দরকার ছিল। তা সত্ত্বেও, ফিলিপাইন তার এক চীন নীতি পুনর্ব্যক্ত করছে।’
এদিকে, বিজয়ের জন্য তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়াসহ অনেকেই।
তারা তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।