দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পুনঃএকত্রীকরণ ও সহযোগিতার বিষয়সমূহ দেখভালকারী সংস্থাসমূহ বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সরকারি সংবাদ মাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, যদি উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত লংঘনের কোনও ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে বলে দেশটির নেতা কিম জং উনের হুমকির মধ্যেই এসব সংস্থা বাতিলের ঘোষণা এলো।
কেসিএনএ-এর খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া দুই দেশের কার্যত নৌসীমান্ত নর্দান লিমিট লাইন মানবে না। যুদ্ধের মাধ্যমে সিউলকে দখলে নেওয়ার জন্যে সাংবিধানিক পরিবর্তনের কথাও জানায় দেশটি।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইয়েল তার মন্ত্রিপরিষদকে বলেছেন, পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়া উস্কানি দিলে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক গুণ শক্তি নিয়ে তার জবাব দেবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক চরম পর্যায়ে নেমে এসেছে।
উত্তর কোরিয়া নভেম্বরে সিউলে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে, যা উত্তেজনা কমাতে ২০১৮ সালে করা সামরিক চুক্তির লংঘন।
কেসিএনএ বলেছে, পুনঃএকত্রীকরন ও সহযোগিতার বিষয়সমূহ দেখভালকারী সংস্থাসমূহ বিলুপ্ত করার পিয়ংইয়য়ের সিদ্বান্তের ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার নাম সর্বস্ব পার্লামেন্ট দিয়েছে।
অন্যদিকে, সুপ্রিম পিপলস এসেম্বলিতে দেওয়া ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়াকে সবচেয়ে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয়ার জন্যে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কিম।
কিম হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ‘আমাদের স্থল, আকাশ ও জলসীমার ০.০০১ মিলিমিটার এলাকাতেও যদি দক্ষিণ কোরিয়া কোন লংঘনের ঘটনা ঘটায়, তবে তা যুদ্ধের উস্কানি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’
উল্লেখ্য, বিবাদমান এই দুই দেশের সরকারি নাম দ্য ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া এবং রিপাবলিক অব কোরিয়া।
উভয় দেশের প্রতিষ্ঠা ৭৫ বছর আগে হলেও কার্যত দুই দেশই একে অন্যকে অবৈধ অস্তিত্ব হিসেবে গণ্য করে।